চাঁদের গাড়ির ধাক্কা চকরিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

9

চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাঁদের গাড়ির (জীপ) ধাক্কায় আরিফুল ইসলাম নিশু (১৬) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। নিহত নিশু উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সিকদার পাড়া এলাকার নেজাম উদ্দিন প্রকাশ নেজাম মিস্ত্রির একমাত্র ছেলে। সে ফাঁসিয়াখালীর রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরসভার মৌলভীরকুম এলাকায় একটি দ্রæতগামী চাঁদের গাড়ির (জিপ) চাপায় গুরুতর আহত হয় মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম নিশু। দুর্ঘটনার পরপরই প্রথমে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে মারা যায় শিক্ষার্থী নিশু।
জানা যায়, নেজাম উদ্দিনের পরিবারে একে একে চার কন্যা সন্তানের পর জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। তাকে পেয়ে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনেরা ছিলেন খুশিতে আত্মহারা। এ সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্নও ছিল অনেক। আরিফুল ইসলাম নিশু বড় হয়ে প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলো। কিন্তু দশমরেণিতে পড়া অবস্থায় মা-বাবার সেই আদরের সন্তান মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার আবদার করে বসে। এক পর্যায়ে তাকে কিনেও দেয়া হয় শখের মোটরসাইকেল। সেটিই কাল হয়েছে নিশুর জন্য।
এদিকে আরিফুল ইসলাম নিশু (১৬) মারা যাওয়ার ঘটনায় মা-বাবা, চার বোনসহ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
ফাঁসিয়াখালী ইউপির চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী বলেন, ‘চার বোনের একমাত্র ভাই ছিল আরিফুল ইসলাম নিশু। সবার আদরের সেই ভাই ছিল পরিবারের মধ্যমণি। তাকে নিয়ে পরিবারের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু একটি মোটরসাইকেলের কারণে আজ পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনা থেকে সকল পরিবারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সন্তান চাইলেই যে, তার আবদার মেটাতে হবে তা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে’।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মুর্শেদুল আলম ভ‚ঁইয়া বলেন, মহাসড়কের মৌলভীরকুম এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেয়া সেই দ্রæতগামী জিপটি আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।