চাঁদপুর স্টেডিয়ামের দেয়ালও বলবে পরাণ টিমকে কি দিয়েছে টিম ৭৩ রানে অলআউট হলে কোচ বা ম্যানেজারের কি করার আছে?

9

স্পোর্টস ডেস্ক

আমি (শাহ্ পরাণ নিশান) দলের সাথে যুক্ত হই ২৮ অক্টোবর আর টিম চাঁদপুরের পথে রওয়ানা দেয় ২৯ অক্টোবর। ফলে পুরোনো ৪ জন খেলোয়াড় ছাড়া আমি কাউকে চিনতামওনা। টিম সিলেকশনের প্রক্রিয়া ছিল দীর্ঘ ২ মাসের। প্রথমে চট্টগ্রামের তিন প্রতিষ্ঠিত কোচ মাসুমুদ্দৌলা, মোমিন ও মিঠু মিলে চার শতাধিক ক্রিকেটারের মধ্য থেকে বাছাই করে ৫০ জনকে নিয়ে শর্ট লিস্ট করেন। বিসিবির মেডিকেলের পর দু’একজন বাদপড়া বা অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে কয়েকজন উঠার পর অর্ধশতাধিক খেলোয়াড়কে নিয়ে অনুশীলনের মাধ্যমে ১৮/২০ জনের স্কোয়াড করার জন্য সিজেকেএস এর পক্ষ থেকে জেলা কোচ মিঠুকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মিঠু ভাই এককভাবে টিম সিলেকশন করেন এবং বেস্ট ইলেভেনও সাজান। তিনি আমার চাইতে অনেক উপরের লেভেল ক্রিকেট খেলেছেন এবং তাই আমিও দল নির্বাচনে তার উপর কোন হস্তক্ষেপ করি নাই। তবে মিঠু ভাই কোন বিশেষ খেলোয়াড়কে ফেভার করতে দেখিনি। ব্যাসিক্যালি, টিম খারাপ ছিল না, খেলোয়াড়রা ঠিকমত পারফর্ম করতে পারেনি- ব্যাড লাক। দুইটা ম্যাচ জেতায় কোচ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গতে চাননি। টিম ম্যানেজার হিসেবে আমি শুধু খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধাগুলো এনশিউর করে তাদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার কাজটি করছিলাম, মাঠের খেলা পরিচালনার কাজটি এককভাবেই করেছেন বিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা কোচ। টিমের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রথম দু’টি ম্যাচেই জয়ের নায়ক (ম্যাচসেরা) সাদমানকে আমি এক হাজার টাকা করে নগদ অর্থ পুরস্কার দিয়েছিলাম। সে তার টাকায় মায়ের জন্মদিন পালনের জন্য কেক আনলে আমরাও শিশুটির আবেগকে বাধাগ্রস্ত করিনি। এটা কি ক্রিমিনাল অফেন্স?
আমি এ নিয়ে ৩য় বারের মত জেলা দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছি তবে আমি কখনো টিএডিএ গ্রহণ করিনি। কারণ আমি ক্রিকেট ভালবাসি। এবারও কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য বিভিন্ন রেফারেন্স দিয়ে আমাকে ফোন করেছে। কয়েকজন ফোনে অত্যন্ত বাজে ব্যবহারও করেছে। কিন্তু কেউই বুঝতে চাইলেন না যে, আমি টিমের মালিক নই। কয়েকজন এমনও বলেছেন যে, এখানে নাকি টাকার খেলা চলছে। প্রথম ম্যাচে ৬৭/৭ থেকে ১৯২ রান করা টিম কক্সবাজারের সাথে ৭৩ রানে অলআউট হলে কোচ বা ম্যানেজারের কি করার আছে? আর এবার কোচ তপন দা, টিটু বা রাশেদ নয়, সবচেয়ে কোয়ালিফাইড কোচ যার সম্পর্কে আমি কোন কমেন্ট করতে পারি না। কারণ তার ক্রিকেটের লেভেল এবং অভিজ্ঞতা অনেক উপরে। প্রথম দুই ম্যাচ যখন জিতেছে তখন কেউই তামিম বা মারুফের কথা লিখেনি যে, তাদেরকে ছাড়াই চট্টগ্রাম ম্যাচ জিতেছে। এসব কিছুকে ছাপিয়ে, চাঁদপুরের ক্রিকেট সেক্রেটারি বা ন্যাশনাল হান্টার রাজন এমনকি চাঁদপুর স্টেডিয়ামের দেয়ালকে জিজ্ঞেস করলেও বলবে মোহাম্মদ শাহ পরাণ টিমের জন্য কি দিয়েছে।