চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সিটি মেয়র রেজাউল অনৈতিক আবদার নয়, প্রভাবিত করারও চেষ্টা করবেন না

19

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্পোরেশনের সার্বিক অবস্থা আমি এখনো পর্যবেক্ষন করছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ-কর্ম করুন।
অনৈতিক কোন আবদার ও কাজে আমাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। যদি চেষ্টা করেন তাহলে কেউ ছাড় পাবেন না। তিনি রোববার বিকেলে কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কর কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এতে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধান ও পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহন করার পর যতদিন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে কাজে-কর্মে পেয়েছি ততদিন আমার ওনাকে সৃজনশীল ও দক্ষ কর্মকর্তা মনে হয়েছে। তিনি একজন সুনিপুন যোগ্য কর্মকর্তা। সবসময় কর্পোরেশনের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন।
এরকম কর্মকর্তা দেশের জন্য সম্পদ। মেয়র চসিকের কর্মকর্তাদেরও তাঁর মত সততা ও নীতিনিষ্ঠার সাথে পথ অনুসরন করে কাজ করার আহŸান জানান। বিদায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার কর্মকাল ২ বছর ৪ মাস ১১ দিন। এসময়ে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে আমি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। তাতে সুফলও মিলেছে। আমার অর্জনের মধ্যে আছে রাজস্ব বিভাগের শৃঙ্খলা ফিরানো, অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা চালু, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরোধ মিটিয়ে মিলে মিশে কাজ করানো। আক্ষেপ থেকে গেল কর আদায় পদ্ধতিটা অনলাইন করতে না পারা। আশাকরি নতুন যোগ দেয়া প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিদায়ী এ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে তার এসব পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাগুলো লিখিত আকারে নতুন যোগ দেয়া প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে দিতে বলেন। তিনি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার সাথে বসে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। পরে বিদায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র।