চলে গেলেন সংগীত পরিচালক বাসুদেব

33

সংগীত পরিচালক-সুরকার বাসুদেব চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি নিজ বাসায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে বারডেম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, বাসাতেই এই বরেণ্য শিল্পীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে আসার পর তা নিশ্চিত হয়। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীত জগতে। শিল্পী বাপ্পা মজুমদার একটি বার্তায় লেখেন, “এ বছর একের পর এক শোক সংবাদ আর নেওয়া যাচ্ছে না।” শিল্পী কোনাল লিখেছেন, “আমি ভাষাহীন”। গীতিকবি শেখ রানা লিখেছেন, “বাসু’দা, আপনার মৃত্যু আমাকে শোকাতুর করে দিল। রাজারবাগ এর সেই বাসা, বাপ্পা- বাসু…কত সময় কাটিয়েছি ৯৮-৯৯ এর দিকে। কত কত মজার স্মৃতি আপনার সাথে। নিত্যদিন আর দেখা হতো না, কথার রেশও কমে গিয়েছিল। তবু আমার সেই স্টুডিও ঘোরা প্রথমদিককার সময়ে আপনার সাহচর্য কী করে ভুলি! আমার হৃদয়ে আপনি সারাজীবন বন্ধু হয়ে থাকবেন। মনে আছে, স্টুডিওতে একজন কন্ঠশিল্পীর জিজ্ঞাসু দৃষ্টির সামনে আপনি বলেছিলেন, “আমাদের রানা। বন্ধু মানুষ।’ এই কথাটা আমি এখনও মনে রেখেছি, বাসু’দা। হতবিহবল লাগছে আপনার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে। দেশের গান এর এলবাম নিয়ে কত আগ্রহ ছিল আপনার। ‘একটি নারী অবুঝ’-মিক্সড এলবামের সময়টা মনে পড়ছে ভীষণ। শিশুর মত আনন্দ পেয়েছিলাম ‘পাখি উড়ে যায়’- সুরটা শুনে। বাসু’দা, আপনি পরপারে শান্তিতে থাকুন। এই প্রার্থনা করি।” শিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ লিখেছেন, ‘সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় বাসুদেব ঘোষ,আমাদের বাসু দা নেই…গান টা ইমেইল না করেই চলে গেলেন?”মা কেমন আছেন’ কে জিজ্ঞাসা করবে আমাকে?” বাসুদেব ঘোষের মরদেহ রাতেই তার জন্মস্থান চট্টগ্রাম বোয়ালখালীর কানুনগো পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য করা হয়। তবে তার আগে শেষ বিদায়ের জন্য নেওয়া হয় রাজধানীর মগবাজারের বাসায়।চলে গেলেন সংগীত পরিচালক বাসুদেব