চলে গেলেন পি কে ব্যানার্জি

61

ভারতীয় ফুটবলের একটি উজ্জ্বল প্রদীপশিখা নিভে গেল চিরতরে। এশিয়ান গেমসজয়ী ভারতের সাবেক ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার বন্দোপাধ্যায়, যিনি পি কে ব্যানার্জি বা শুধু পি কে নামেই পরিচিত ছিলেন ফুটবল জগতে, গতকাল চলে গেলেন অন্য ভুবনে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩।
কয়েক বছর ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন পি কে। স্ট্রোক করেছিল ২০০৬ সালে। ভুগছিলেন পার্কিনসনস ও নিউমোনিয়ায়। শুক্রবার দুপুরে কলকাতার একটি হাসপাতালে সব রোগ-ভোগের উর্ধ্বে চলে গেলেন। পলা ও পূর্ণা নামে শিক্ষাবিদ দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। ভাই ভারতীয় ফুটবলের আরেক সাবেক তারকা পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রসূন বন্দোপাধ্যায় তার ছোট ভাই।
ভারতীয় ফুটবলের অতি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব পি কে বন্দোপাধ্যায় ছিলেন ভারতের সোনালি যুগের অধিনায়ক। ভারতের হয়ে খেলেছেন ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে, ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে তো অধিনায়কই ছিলেন দলের। ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ভারতকে সোনা জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। ভারতীয় দলে আক্রমণভাগে চুনী গোস্বামী ও তুলসিদাস বলরামের সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেচিলেন বিখ্যাত ‘ত্রয়ী’।
১৯৬৭ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে যোগ দেন কোচিংয়ে। সেখানেও ইস্ট বেঙ্গল, মোহনাবাগানের হয়ে সোনা ফলিয়েছেন। প্রায় ছয় দশক ফুটবল নিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। ছিলেন কোচ, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, ধারাভাষ্যকার। ফুটবল-পন্ডিত বলতে যা বোঝায় তা-ই ছিলেন পি কে।
কোচদের জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার অর্জুন জিতেছেন প্রবর্তনের বছরেই, পেয়েছেন পদ্মশ্রী খেতাব। ফুটবলে অবদানের জন্য ফিফা তাকে শতবার্ষিকী পুরস্কারে ভূষিত করেছে ২০০৪ সালে।