চলতি বছরেই নতুন মাস্টারপ্ল্যান : ছালাম

28

নতুন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলতি বছর শেষ হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
গতকাল সোমবার সকালে সিডিএ সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান।
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিডিএ অসাধ্য সাধন করেছে। দশটি বছর পার করার পর শেষ সময়ে এসে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বিজ্ঞজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। ১৯৯৫ সালে মাস্টারপ্ল্যান হয়, যেটা ১৯৯৯ সালে এসে গেজেট হয়। আগামী ডিসেম্বরে মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অতীতকে বাদ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দুই বছর ৩২টি ওয়ার্ডে আগে কাজ শুরু করি। স্থানীয় রাজনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। আমি চিন্তা করেছি, যাদের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তাদের না জানিয়ে করলে এটা ঠিক হবে না। আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা করেছি। ৪১টি ওয়ার্ডকে আলাদা করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার চিন্তা করেছি। সবাই বলেছে ওয়ার্ডভিত্তিক করলে ভালো হবে। একটি সক্রিয় গাইডলাইন দিতে না পারলে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, ১৯৯৫ সালে মাস্টারপ্ল্যানের চিন্তাধারা আজকের চিন্তাধারার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে, অনেক কাজ হয়েছে। অন্যান্য জেলার ভবিষ্যত এবং চট্টগ্রামের ভবিষ্যতের মধ্যে তফাৎ আছে। সাগর নদীবেষ্টিত চট্টগ্রামের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে সুনামও হবে দুর্নামও হবে। তাই বলে ঘরে বসে থাকলে কাজ হবে না। চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে সিডিএ ঝুঁকি নিয়েছে। কতুটুক কাজ করতে পেরেছি সেটা মানুষ বিচার করবে। চট্টগ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতামুক্ত, যানজটমুক্ত শহর চায়। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম চায়। সেটাকে নিয়ে আমরা যাত্রা করি। এ যাত্রা মসৃণ ছিল না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকে সিডিএ স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি বিপ্লব ঘটে। প্রথম কোনো রাজনৈতিক কর্মী চেয়ারম্যানের পদে আসে। এরপর যা হয়েছে সেটা ইতিহাস। ২০ ফিটের রাস্তা সম্প্রসারণ করে ৬০ ফিট করেছি। ১০ হাজার বাড়িঘর ভেঙেছি, কোনো আওয়াজ হয়নি। মসজিদ ভেঙে রাস্তা করা হয়েছে, মন্দির ভাঙা হয়েছে, মাদরাসা ভাঙা হয়েছে, কবরস্থান ভেঙে রাস্তা করা হয়েছে। কেউ কোনো আওয়াজ করেনি। সবাই রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। সিডিএ অসাধ্য সাধন করেছে। মিরসরাইয়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক জোনের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে যতগুলো ইকোনমিক জোন রয়েছে মিরসরাই ইকোনমিক জোন সর্ববৃহৎ।
সিডিএ’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান ও আবু ঈসা আনছারীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক প্রকৌশলী এম আলী আশরাফ, জেরিনা হোসেন, স্থপতি পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, বাংলাদেশ ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরিফ মাহমুদ, মো. নাজিম উদ্দীন, স্থপতি নাজমুল লতিফ, শাহীন আক্তার, অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, অধ্যাপক ড. মো. শাকিল আখতার, মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক রাজা দেবাশীষ রায়, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শাম্স, সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড সদস্য আশিক ইমরান, জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, প্রকৌশলী এএএম হাবিবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন আহমেদ, মো. জহির আহমেদ, সাইয়েদ ফুয়াদুল খলিল আল ফাহমী, প্রকৌশলী কামাল হোসেন, প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান, প্রকৌশলী মোস্তফা জামাল, আর্কিটেক্ট মো. গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, মো. জয়নুল আবেদীন, জান্নাতুল ফেরদৌস, নাজমা বেগম, মো. নুরুল করিম প্রমুখ।