চলচ্চিত্র থেকে কি নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে নায়করাজ পরিবার?

41

২০১৭ সালের আজকের এই দিনে (২১ আগস্ট) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। শুধু অভিনয়ই নয়, প্রযোজনা ও নির্মাণ দিয়েও তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্র। নিজের প্রতিষ্ঠান ‘রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন’ থেকে প্রযোজনা করেছেন ব্যবসাসফল অনেক চলচ্চিত্র। তবে বর্তমানে এটির কার্যক্রম স্থবির। বছর খানেক হলো নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ। নায়করাজ বেঁচে থাকতে ২০১৪ সালে তাদের সর্বশেষ ছবি ‘কার্তুজ’ মুক্তি পায়। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণ না করলেও নাটক ও টেলিছবি প্রযোজনা করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সাল থেকে সেটিও বন্ধ। তবে কি নির্মাণ থেকে একেবারে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন নায়করাজ পরিবারের সদস্যরা? বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় রাজ্জাকের ছোট ছেলে নায়ক সম্রাটের কাছে। যিনি রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশনটি দেখভাল করেন।
সম্রাট বলেন, ‘‘২০১৪ সালে ‘কার্তুজ’-এ আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। দুঃখজনক বিষয়টি হলো, আমাদের দেশে চলচ্চিত্র বিপণন ব্যবস্থা ভুল পথে আছে। যার ফলে প্রযোজকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। ‘কার্তুজ’ নির্মাণের পর আমরা আর ছবি তৈরি করিনি। একটি ছবির পরিকল্পনা করা হলেও বাবার মৃত্যুর পর তা বাতিল করা হয়।’’ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অন্য নির্মাণ প্রসঙ্গে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘‘২০১৮ সালে বাবা দিবসে ‘বাবা’ নামের টেলিছবি তৈরি করেছিলাম। এটিই আমাদের সর্বশেষ প্রযোজনা। আসলে এগুলোতে টিম ওয়ার্ক ও ভালো বিনিয়োগ দরকার হয়। এটি করার পরও ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে। আমাদের ম্যানেজারিয়াল টিম পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখেছে আমরা যে বিনিয়োগ করছি সে অনুপাতে লভ্যাংশ পাচ্ছি না। পাশাপাশি আমাদের অন্য ব্যবসাও আছে। সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। তাই আমরা দুই ভাই আপাতত নির্মাণ বন্ধ রেখে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সামলাচ্ছি।’’ শুধু নির্মাণই নয়, রাজ্জাক তার দুই ছেলেকে নায়ক হিসেবে পর্দায় এনেছিলেন। অভিনয়েও তাদের সেভাবে আর পাওয়া যায় না। এর কারণ হিসেবে সম্রাট জানান, অন্য নির্মাতাদের কাছ থেকেও অভিনয় প্রস্তাব তারা পান না। আর নিজেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ বন্ধ হওয়ায় এখন অভিনয় থেকে পুরোপুরি বাইরে এই দুই নায়ক।