চরণদ্বীপ রজভীয়া মাদ্রাসায় শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন

9

 

বোয়ালখালী উপজেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয় ১৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল- শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দেয়ালিকা প্রকাশ, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, হাতের সুন্দর লেখা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ১০টি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা হয়।
চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব রেজার সভাপতিত্বে ও মাওলানা জিল্লুর রহমান হাবিবীর সঞ্চালনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাব্বির আহমদ, আরবী প্রভাষক মাওলানা মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ ওসমান, ইংরেজি অধ্যাপক মুহাম্মদ দেলোয়ারুল ইসলাম, বাংলা অধ্যাপক মুহাম্মদ এনামুল হক, জীববিজ্ঞানের অধ্যাপিকা মোরশেদা বেগম, মাওলানা আব্দুল মালেক নুরী, মাওলানা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান রেজভী, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা আব্দুল হালিম অহিদী, ফারজানা সেহেলি, শারাবান তাহুরা, এজাহার মিয়া, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হোসেন, এসএম নঈম উদ্দিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব রেজা বলেন, শিশুর সঙ্গে স্নেহশীল আচরণ ইসলামের মৌলিক সৌন্দর্য এবং শিশু হত্যা ও নির্যাতনকে ইসলাম জঘণ্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ১০ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেলকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিষ্পাপ ও নিরপরাধ এই শিশুকে হত্যা করতেও সেদিন খুনিদের বুক কাঁপেনি।
রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের মধ্যে এমন বর্বরোচিত উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই আছে। সব শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ৭৫’র কালো রাত্রিতে শাহাদত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি