চমেকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি ও হামলার প্রতিবাদ

16

নিজস্ব প্রতেিবদক

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, মৃত্যুপথযাত্রী কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস একটি অত্যন্ত মানবিক ও জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা। কিডনি মানবদেহের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি বিকল হলে শরীর ফোলা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, দুর্বলতা, রক্তশূন্যতাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পাশাপাশি নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে না পারলে দ্রæত মৃত্যু হয়। যেখানে অনেক দরিদ্র রোগীর পক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে কিডনি ডায়ালাইসিসের মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে কিডনি ডায়ালাইসিসের মূল্য একলাফে পাঁচ থেকে সাতগুণ বৃদ্ধি করা অমানবিক। বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত হয়েছেন। সরকার অনেক অপ্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি প্রদান করছেন। তারা প্রশ্ন রাখেন, দরিদ্র কিডনি রোগীদের এই জীবনরক্ষাকারী মানবিক সেবাটি অব্যাহত রাখতে এ খাতে প্রয়োজনে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে বাধা কোথায়?
নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের করের টাকায় যাদের বেতন-ভাতা হয়, একটি মানবিক দাবি জানাতে গিয়ে যদি তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণায় মানুষ কাতর, সেখানে চিকিৎসাসহ ডায়ালাইসিসের খরচ যোগাতে গিয়ে মধ্যবিত্তসহ অনেক পরিবারের একেবারে পথে বসার মত অবস্থা। তারা চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।