চবি ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার

9

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের ছয়জন করে মোট ১২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে চবি প্রশাসন। গত রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সোমবার থেকে এ বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। বহিষ্কার আদেশ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও হলে অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের চলমান বিবাদের অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে এক বছর করে ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিবাদমান ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি হলো- চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও সিক্সটি নাইন।সিএফসি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল এবং সিক্সটি নাইন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপুর নিয়ন্ত্রণাধীন। আবার রুবেল শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং ইকবাল টিপু সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বহিষ্কৃত সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলেন- ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম, একই শিক্ষাবর্ষে পরিসংখ্যান বিভাগের আকিব জাভেদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয় ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ফরহাদ। এদের মধ্যে আশরাফুল আলম নায়েমকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিএফসি গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজ্জামান সরকার, সমাজতত্ত¡ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন ও আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম। এদের মধ্যে মির্জা খবির সাদাফকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এর জেরে শুক্রবার ও রোববার কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।