চবি কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ

86

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুল হকের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনার সুবিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
চিঠিতে অধ্যক্ষ ফজলুল হক লিখেন, ‘গত ৯ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করি। সভায় ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান আমাকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক ও শিষ্টাচার
বিবর্জিত বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য সভার এজেন্ডা বহির্ভূত। উনি আমাকে অপসারণ করতে বলেন। আমি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। উপাচার্য হিসেবে আপনি যেকোন সময় চুক্তি বাতিল করতে পারেন, আমিও চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারি। এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এজন্য আমাকে সভায় অপমানিত করার দরকার নাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জামায়াতপন্থী শিক্ষক আমাকে সভায় অপদস্থ করায় আমি ব্যথিত হয়েছি। আপনার কাছে আমি সুবিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ওই সভায় আমি বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করতে স্কুলটিকে উন্নত করতে। কারণ শিক্ষকরা বাচ্চাদের ভালো স্কুলে পড়ানোর জন্য শহরে চলে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওই সভায়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি অংশ নিয়েছিলেন। আমি শুধু স্কুলকে উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের ডাকা হয়েছিলো পরামর্শ নিতে। আগে স্কুলটি কুমিল্লা বোর্ডে প্রথম দিকের অবস্থা ছিলো। কিন্তু গত এক যুগ স্কুলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিরা দীর্ঘদিন এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আর অধ্যক্ষ ফজলুল হক স্যারের সঙ্গে আমার কোন মতানৈক্য নেই। ওনার সঙ্গে আমার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আমি বিকালে ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। ওনিও বুঝতে পেরেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমি আজ খুব ব্যস্ত ছিলাম। তাই চিঠিটি দেখতে পারিনি। আগামীকাল চিঠিটি দেখবো।’