চবি উপাচার্য রচিত দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

6

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে আমি জাতির পিতা হিসেবে মনে না করে নিজের পিতা হিসেবে মনে করি। আমি লিখতে পছন্দ করি। লিখা ভাল হয় কিনা জানি না। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এসে মনে হল এবার সময় হয়েছে তাঁকে নিয়ে কিছু লেখার। বই যেমনই হোক না কেন আমি জাতির পিতাকে নিয়ে লিখেছি তার প্রতি থাকা আমার দায় নিয়ে। এবং আমি মনে করি তাঁকে নিয়ে আরো অনেক অনেক লেখা হওয়া উচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত নিজের রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এবং ‘৭ই মার্চের ভাষণ: একটি জাতির কথামালা’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দুটি বইই প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় চোখ প্রকাশনী থেকে।
এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরের চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে তৃতীয় চোখ কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন কবি ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ। ড. সুমন হায়াতের সঞ্চালনায় তৃতীয় চোখের সম্পাদক ও প্রকাশক আলী প্রয়াশের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা। এসময় তিনি বলেন, বাঙালি জাতির নামের পেছনে যে ভীরু শব্দটি যুক্ত ছিল তা থেকে বাঙালী জাতিকে বের করে নিয়ে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি নিজেই সে সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবং এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। হাজার বছরের ইতিহাসে সব দিক দিয়ে নিখুঁত একজন বাঙালী ছিলেন তিনি।
প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাকনইবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন রাজনীতিতে ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছিলেন তখন তাঁর সাথে তারই সমকক্ষ আরো অনেক নেতা ছিলেন। কিন্তু দিনশেষে সবাইকে ছাড়িয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণাকর্ম হচ্ছে তা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ফিদেল কাস্ত্রোর করা ‘আমি হিমালয় দেখি নি, তবে আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি’ উক্তিটি সঠিক। প্রতি বছর হিমালয়কে জয় করার বাসনা নিয়ে যে পরিমাণ মানুষ যাত্রা করেন, অনেকে মারাও যান সে তুলনায় বঙ্গবন্ধু নামক হিমালয়কে নিয়ে রচিত সাড়ে চার হাজার বই কিছুই না। এই ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাড়ে চার লাখ বই রচিত হওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।