চবির হলগুলোতে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা

44

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্রদের আবাসিক হলগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আবাসিক হলগুলোতে সময় দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে সভায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার পূর্বদেশকে বলেন, ‘সামনে ভর্তি পরীক্ষা আসছে। ভর্তি পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিবেশ উন্নয়নে প্রভোস্ট কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রভোস্টদের একটি প্রতিবেদন দিতে। ছেলেদের আবাসিক হলগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডির তত্ত্বাবধানে কাজটি সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া আবাসিল হলগুলোর প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের নিয়মিত হল পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক ও শান্ত থাকে’।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শোকর‌্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শোক র‌্যালিটি বের করা হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কালোব্যাজ ধারণ করেন। শোক র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
রেজাউল হক রুবেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুনিদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন। দেশরতœ শেখ হাসিনা থেকে অলিগলির ছাত্রলীগ, সবাই চায় দ্রুত যেন আবরার হত্যার বিচার শেষ হয়। যে দেশে শেখ হাসিনা আছে, সেখানে কোনো অন্যায় কর্মকান্ড চলতে পারে না। যে কোনো অপকর্মের বিচার বাংলাদেশে হচ্ছে? তবে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করতে পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী যদি কোনো অপরাধে জড়িত থাকে, তার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না। প্রগতিশীল সকল সংগঠন যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তার সাথে একাত্মতা পোষণ করছি? কিন্তু বিষয়টিকে নিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছে। যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে চবি ছাত্রলীগ কঠোর হস্তে দমন করবে।