চন্দ্রঘোনা রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যাঘাত

39

চন্দ্রঘোনা ২নং রাইখালী ইউনিয়নে অবস্থিত পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করছে। প্রতিনিয়ত চাহিদানুযায়ী ভোল্টেজ না পাওয়ায় গবেষণা কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিদ্যুতের সংকটে পড়ে অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকার গবেষণা কাজের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিলেও শুধুমাত্র চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীতে বিজ্ঞানীরা কোন গবেষণাই করতে পারছেন না বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগে জানিয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা অত্যন্ত অভিজ্ঞ। অনেক গবেষণা ভিত্তিক কাজ এ কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা করেছেন। যদি বিদ্যুৎ যথাযথভাবে পাওয়া যেতো তাহলে এ গবেষণা কেন্দ্র দেশকে আরো অনেক কিছু উপহার দিতে পারতেন বলে কর্মকর্তারা জানান। সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে কিছুটা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও মাস খানেক আগেও প্রায় সারা দিন বিদ্যুৎ পাওয়াই যেতোনা। রাইখালীতে সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস থাকলেও শুধুমাত্র বিদ্যুতের অভাবে কোন অফিসই কাঙ্খিত মাত্রায় কাজ করতে পারছেন না। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ থাকার কথা স্বীকার করেছেন পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর প্রধান কৈর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন, পূর্বে সারাদিনে কয়েক ঘন্টাই বিদ্যুৎ পাওয়া যেতো না। দিনরাত অবিরাম লোড শেডিং চলতো। বর্তমানে লোড শেডিং কমে গেলেও লো ভোল্টেজের কারণে গবেষণা কাজ চালানো যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, গবেষণার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। গবেষণা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আছে। কিন্তু সেই যন্ত্রগুলো বছরের পর বছর অচল পড়ে আছে। ব্যবহার করতে না পারায় অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের অভাবে যে শুধু পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ভুগছে তা নয় এর পাশেই অবস্থিত উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ও। এই কার্যালয়েও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার প্রয়োজন। কিন্তু সেখানেও যন্ত্র গুলো অচল পড়ে আছে। গবেষণার প্রতি বর্তমান সরকার অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। গবেষণার কাজে সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এখানে যেসব বিজ্ঞানীরা কর্মরত আছেন তারাও গবেষণার মাধ্যমে আরো নতুন নতুন উদ্ভাবন তৈরি করতে সক্ষম বলে তিনি জানান। কিন্তু লো ভোল্টেজের কারণে বিজ্ঞানীরা বড় বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন। অবিলম্বে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। চন্দ্রঘোনা ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক জানান, এ প্রতিষ্ঠানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুতের কারণে তাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। এলাকায়ও বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক প্রকৌশলী ইরিতোষ চাকমা জানান, রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বিদ্যুতের সংকট নিরসনে আমরা কাজ করছি। অচিরেই তা সমাধান হবে।