চন্দ্রঘোনায় অনৈতিক কর্মকান্ডের আবাসিক হোটেল ভবন ভাংচুর

117

রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচু বাগান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ভাই ভাই বোর্ডিং নামে একটি আবাসিক হোটেলের ভবন ভাংচুর করেছে স্থানীয় প্রতিবাদী জনতা। এসময় সহস্রাধিক জনতা মিছিল করে ভবনটি ঘেরাও করে রাখে। ঘেরাও শেষে হোটেলের তিন তলা ভবনে ঢুকে পড়ে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা ধরে সহ¯্রাধীক প্রতিবাদী জনতা ভাংচুর করে। এসময় লিচু বাগানের দোকনপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচু বাগান এলাকায় ভাই ভাই বোর্ডিং নামে ৩ তলা হোটেলের চারপাশের দেয়াল ও ভবেনের ছাদের কিছু অংশ ভেঙে দেয়া হয়। খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। হোটেলটি যেন আর খুলতে না পেরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের জামে মসজিদের পাশে দীর্ঘদিন যাবত লিচু বাগান এলাকায় ভাই ভাই বোর্ডিং বেপোরায়াভাবে হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য হোটেল মালিককে বার বার বলে আসলেও হোটেল মালিক কৌশলে কয়েকদিন বন্ধ করে আবার চালু করে। এ নিয়ে হোটেল মালিকের সাথে এলাকার আলেম সমাজ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে। বৈঠকে হোটেল মালিক মো. ইউনুছ হোটেল ব্যবসা করবেনা অংঙ্গীকার করে স্টামে স্বাক্ষর করে। এরপরেও তিনি হোটেল ব্যবসা নানা কৌশলে চালু কলের। গত মাসে স্থানীয় আলেম সমাজ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে হোটেলটি সিলগালা করে দেয়। কয়েকদির বন্ধ থাকার পর গত শনিবার রাতে হোটেলে কিছু অচেনা সন্ত্রাসী ও হোটেলে নারী এনে ব্যবসা পূনরায় চালু করার চেষ্টা করে।
এতে এলাকায় জানাজানি হলে প্রতিবাদি জনতা লিচুবাগানে এসে জড়ো হয়। সহ¯্রাধীক জনতা প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন চন্দ্রঘোনা ইউনুচিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. মুছা. লিচু বাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম। প্রতিবাদ সভা শেষে উত্তেজিত জনতা ভাই ভাই বোর্ডিংয়ে গিয়ে হোটেলের ১, ২ ও ৩ তলার ভাংচুর করে দেয়াল ও ছাদ গুড়িয়ে দেয়। এতে হোটেলটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে হোটেল মালিক নারী ব্যবসা করে ব্যাপক অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে। হোটেলটি কারণে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন বিপথ গামী পথে ধাবিত হচ্ছে। সাথে বাণিজ্যিক কেন্দ্র লিচুবাগানের সুনাম ক্ষতি হয়েছে। চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুন জানান, দীর্ঘদিন যাবত লিচুবাগান বানিজ্যিক কেন্দ্রে লিচু বাগান জামে মসজিদের পাশে বেপরোয়াভাবে অনৈতিক কর্মকান্ডে চালিয়ে আসছে। অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে তাদের একাধিকবার বার সমিতির পক্ষ থেকে বলা হলেও তার বন্ধ করার জন্য বলা হলেও কিছু দিন বন্ধ রাখে আবার চালু করে। স্থানীয় লোকজন ক্ষোভে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ না করায় উত্তেজিত হয়ে হোটেলটি ভাংচুর করে। সাধারণ জনতা এ হোটেল এখানে দেখতে চায়না। চন্দ্রঘোনা ইউনুছিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ মুছা জানান, এ হোটেল আর চালু করা যাবে না। এর কারণে পুরো এলাকা যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আলেম সমাজ এ হোটেল বার বার বন্ধ করার জন্র মিছিল প্রতিবাদ সভা সমাবেশ করেছে। চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিচ আজগর জানান, হোটেলটি দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। উত্তেজিত লোকজন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুরো এলাকা এ হোটেলরে বদনামের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে নিতীবাচক প্রভাব ফেলেছে। আবাসিক হোটেল ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইসমাঈল ঘটনাস্থলে যান। এসময় লোকজন হোটেলটি ভাংচুর করে চলে যান বলে তিনি জানান। ভাই ভাই হোটেলের মালিক মো. ইউনুছের বক্তব্যের নেয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।