চন্দনাইশ বরুমতি খালের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

92

চন্দনাইশ পৌরসভায় ৫ কি:মি: বরুমতি খালের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে খাল বাঁচাও ও সংরক্ষণ কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বরুমতি খালের সংস্কার কাজ এগিয়ে চলছে।
যা ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। খালের একটি অংশে মাটি দস্যুরা দিনদুপুরে মাটি কেটে খালের পাড় ও পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি’র বালি কেটে নিয়ে গেলেও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। খাল বাঁচাও ও সংরক্ষণ কমিটি অভিযোগ করে মানববন্ধনে বলেছেন, বর্ষা মৌসুমের আগে খাল সংস্কারের নামে দুর্নীতি ও সরকারের বিশাল বরাদ্দ লুটপাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
খালটি রক্ষার জন্য প্রধান মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়ার প্রয়াত সাহিত্যিক আহমদ ছফার স্মৃতি বিজড়িত বরুমতি খালটি তাদের বাড়ি থেকে দক্ষিণ হারলা অংশ পর্যন্ত ৫কি:মি: বরুমতি খাল সংস্কারের কাজটি ৩ জন টিকাদার করে চলেছেন। গত মে মাসে শুরু হয়েছে যা চলতি জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।
খালটি সংস্কারের ফলে দক্ষিণ গাছবাড়িয়া, জিহস ফকির পাড়া, চৌধুরী পাড়া, হারলা নয়াহাট, দক্ষিণ হারলাসহ বিভিন্ন এলাকা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৭৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে খালের সংস্কার কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি’র) সহকারি প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ গুপ্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকার একটি অংশে মাটি দস্যুরা দীর্ঘ ১ বছর ধরে বরুমতি খালের পাড় ও পাশ্ববর্তী ফসলি জমির মাটি ও বালি কেটে নিয়ে গিয়ে খালের দিক পরিবর্তন করলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে সম্পূর্ণ নিরব রয়েছে।
বরুমতি খালটি চন্দনাইশের একটি বিশাল এলাকা জুড়ে চাষাবাদের জন্য উপযোগি হয়ে থাকে। পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানি, খালে বাঁধ দিয়ে হাশিমপুর, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ পৌরসভার এক বিশাল জনগোষ্ঠী চাষাবাাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সিডিউল মোতাবেক খালের দু’পাড়ে ১০ ফুট চাওড়া পাড়, ১৬ ফুট গভীর, ২৫ ফুট প্রস্থ রেখে খাল খননের কথা থাকলেও খালের বিভিন্ন অংশে সড়ক থাকায় এক পাড়ে মাটি দিচ্ছে টিকাদার। তাছাড়া খালের দু’পাড়ে গড়ে উঠা কোটি টাকার গাছ কেটে নিচ্ছে পাশ্ববর্তী জমির মালিক।
বর্ষা মৌসুমে খাল সংস্কার করার কারণে খাল যথাযথভাবে খনন হচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ মৌসুমে খাল খননের কারণে ভেঙ্গে পড়বে পাড়, সংস্কার সংরক্ষণ হবেনা, অর্থ নষ্ট হবে সরকারের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি’র) সহকারি প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত বলেছেন, তারা সরেজমিনে বরুমতি খাল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাল খননের ব্যাপারে সিডিউল মোতাবেক কাটতে হবে। মাটি দস্যুরা ইতোমধ্যে খালের পাড় এবং খালের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়টি সত্যতা পেয়েছেন বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসন তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।