চন্দনাইশ-দোহাজারী পৌরসভা ৫ বছর পর শেষ হলো ওয়ার্ড বিভাজন

52

চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়ন ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ড নিয়ে দোহাজারী পৌরসভা গঠন করা হয়। দীর্ঘ ৫ বছর পর অবশেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ সম্পন্ন হয়, ১৩ নভেম্বর ওয়ার্ড বিভাজনের গেজেট প্রকাশিত হয়। ফলে যে কোনো সময় পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির (নিকার) ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারির সভায় অনুমোদনের পর ২০১৭ সালের ১১ মে দোহাজারী পৌরসভার সরকারি গেজেট বা পরিপত্র প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ ৫ বছরেও ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। নির্বাচন না হওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে জনপ্রতিনিধি না থাকায় বরাদ্দ বন্টন বা পৌরসভার যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন দোহাজারী পৌরবাসী।
ওয়ার্ড বিভাজন বিষয়ে আপিল শুনানী গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিষ্পত্তি হওয়ার পর ১৩ নভেম্বর ওয়ার্ড বিভাজনের গেজেট প্রকাশিত হয়। ৪ ডিসেম্বর প্রিন্টাকারে প্রকাশ করা হয়। ওয়ার্ড বিভাজনের গেজেট প্রকাশের ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে নির্বাচন কমিশন থেকে যে কোনো সময় দোহাজারী পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় নবগঠিত দোহাজারী পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই মাঠে নামতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার লক্ষ্যে প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো নেতা নিজে কিংবা দলবল নিয়ে শো-ডাউনের চেষ্টার পাশাপাশি নতুন পৌর এলাকার ভোটার ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুনভাবে সৃষ্ট এ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়াও পৌরবাসীদের মধ্যেও নানা আলোচনা-সমালোচনা ও উৎসুক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সীমানা জটিলতার কারণে দোহাজারী ও সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। পৌরসভা ঘোষণার পর মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আগ্রহী অনেক প্রার্থীর আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি দলীয় সহানুভ‚তি আদায় করে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আগ্রহীরা সরকারদলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করতে যারা মাঠে নেমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছের তাদের মধ্যে বিলুপ্ত দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, দোহাজারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দীন মুরাদ, আ’লীগ নেতা বাবর আলী ইনু, দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম লেদুর ছেলে যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী লোকমান হাকিমসহ আ’লীগের অনেক সিনিয়র নেতা। ­