চন্দনাইশে ৩ মাসে ২৯ গরু চুরি সন্দেহভাজন ১৮ জন আটক

6

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশে বিভিন্ন এলাকায় গত নভেম্বর থেকে গত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৯টি গরু চুরি হয়। পুলিশ সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে। তবে বিগত তিন মাসে গরু চুরির বিষয়ে মাত্র দুইটি মামলা হয় বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন।
উপজেলার কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়া এলাকায় গত ৯ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে চোরের দল কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়ার কৃষক কোরবান আলীর গোয়াল ঘরের দরজার তালা কেটে প্রবেশ করে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড়, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি গাভী, একই এলাকার আজিম উদ্দীনের ২ লক্ষ ৫০ হাজার মূল্যের ২টি গাভী, ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি বাছুর চুরি করে নিয়ে যায়। গত ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে হারলার রমজু বলি বাড়ির কৃষক আবদুল আলীমের ৪টি দুধেল গাভী, ১টি বাছুরসহ চোরের দল ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এ সকল গরুর মূল্য ৮ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন গরুর মালিক আবদুল আলীম।
এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৬ নভেম্বর রাতে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। চন্দনাইশ থানা সদরে গতকাল ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতে থানা সংলগ্ন ফতে মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি’র শামসুল ইসলাম চৌধুরী’র গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে একটি বিদেশি জাতের গাভী, একটি ষাঁড়, চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলে মাসুদ পারভেজ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় লোকজন আসতে দেখে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাভীটি নিয়ে গেলেও বাছুরটি ফেলে যায়। এ ব্যাপারে শামসুল ইসলাম চৌধুরী বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৭ জানুয়ারি গভীর রাতে দোহাজারী পৌরসভার পূর্ব হাছনদন্ডী কলার বাড়ি’র হারুনুর রশিদের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ১টি গাভী (১ লক্ষ টাকা), ২টি ষাঁড় (২ লক্ষ ৩০ হাজার), পার্শ্ববর্তী গিয়াস উদ্দিনের ১টি গাভী (১ লক্ষ ৭০ হাজার) চুরি করে নিয়ে যায়।
গত ২০ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে চোরের দল চন্দনাইশ সদরস্থ হাজির পাড়া গ্রামের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা কেটে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড়, দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি গাভী, পার্শ্ববর্তী রৌশন আকতারের গোয়াল ঘর থেকে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর ২১ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে চোরের দল উপজেলার হাশিমপুর মোজাহের পাড়ার আবদুল গফুরের গোয়াল ঘর থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় চুরি করে নিয়ে যায়। গরুর মালিক আবদুল গফুর জানান, গরু ২টি মোটা তাজাকরণের উদ্দেশ্যে ১ মাস পূর্বে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন। চোরের দল রাতে তাদের বসত ঘরের বাহিরে ছিটকিনিতে তালা লাগিয়ে তার গোয়াল ঘর থেকে গরু ২টি পিকআপে করে চুরি করে নিয়ে যায়।
তারও আগে গত ২০ জানুয়ারি গভীর রাতে চন্দনাইশের হাশিমপুর খান বটতল এলাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মুদি দোকান থেকে বের হয়ে ডাকাতের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া সায়েম উদ্দিন। সে দক্ষিণ হাশিমপুর খান বটতল এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার সাথে দোকানে থাকা সায়েমের ছোট ভাই নাঈম ও ফুফাতে ভাই সাকিবও আহত হয়। সেদিনও গরু চুরির উদ্দেশ্যে এসে তাদের মুখোমুখি পড়ে যাওয়ায় তাদের গুলি করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।