চন্দনাইশে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম পাইলট প্রকল্প

21

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশে প্রথম বারের মত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে স্থাপন করা হচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজিসি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবছার উদ্দিন আহমদের ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর বরকল আমজাদ হোসেন বাড়ির আঙ্গিনায় একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল টিন দিয়ে এক শতক জমির উপর একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘরের মধ্যে চায়না থেকে আমদানিকৃত পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যানটি স্থাপন করা হয়।
প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, এ মেশিনটি চায়না থেকে এনে ব্যারিস্টার আসিফ চন্দনাইশ উত্তর বরকলে প্রথম স্থাপন করছেন। এখানে প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধকরণ সম্ভব হবে। এ পানি এলাকার মানুষ বিনামূল্যে খাবার এবং ব্যবহার করতে পারবেন। মাসিক ৩ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল ব্যবহৃত হবে। পানি বিশুদ্ধাগারের জন্য পার্শ¦বর্তী খালের সাথে ২ লাইনের পাইপ স্থাপন করা হবে। একটি দিয়ে খাল থেকে পানি এনে বিশুদ্ধকরণ কাজ শেষে বর্জ্য পানি পুনরায় অপর পাইপ দিয়ে খালে চলে যাবে। ফলে পার্শ¦বর্তী জমির উর্বরতা নষ্ট হবে না।
প্রকল্পের উদ্যোক্তা হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ বলেন, এ প্রকল্পটি তিনি স্মার্ট বাংলাদেশে পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্থাপন করছেন। এটা সফল হলে সারা চন্দনাইশের মানুষ বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি অনায়াসে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, তার পিতা ইঞ্জিনিয়ার আবছার উদ্দিন আহমেদের মা-মাটি-মানুষ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটি তিনি হাতে নিয়েছেন। এক সপ্তাহে প্ল্যান স্থাপনের কাজ অনেক এগিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পার্শ্ববর্তী খালের সাথে পানির লাইন স্থাপন করে পরীক্ষামূলকভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ শুরু হবে। প্রকল্পটি সফল হলে চন্দনাইশের মানুষের ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেয়ার পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি স্থাপনে ৭০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে আরো কিছু টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের পাইলট প্রকল্প হিসেবে তিনি এ প্রকল্পটি বেছে নিয়েছেন বলে জানান।