চন্দনাইশে বোরো ধানের ভালো ফলন

21

চন্দনাইশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলছে ধান কাটার উৎসব। ধান কাটা আর মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। তবে ধানের দাম নিয়ে খুশি নন তারা। সরেজমিনে সাতবাড়ীয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল, জোয়ারাসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর পর মাঠ ছেয়ে আছে সোনালী ধানে। মেশিনে ধান মাড়াই, খড় আলাদা করে রোদে শুকোচ্ছেন কৃষক কৃষাণীরা। চলতি মৌসুমে চন্দনাইশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির লালা। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মনে আনন্দের বন্যা বয়ে বেড়াচ্ছে। কিছুদিন ধরে ধানের দাম কম থাকার কারণে কৃষকেরা চাষাবাদে অনাগ্রাহী ছিল। বর্তমান সরকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মৌসুমে চন্দনাইশে বিভিন্ন বিলে বোরো ধানের ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। ফলে কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব চলছে।
চন্দনাইশে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম, পাট, বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বি-ধান ৬৭ জাতের নমুনা শস্য কর্তন শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছরের চেয়ে এবারে বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা খুবই খুশি। সরকারিভাবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৬০ টাকা, বোকারেরা ১ হাজার ৪০ টাকায় ক্রয় করে মিলে ১ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। একজন শ্রমিককে ৮শ থেকে ৯শ টাকা ২ বেলা ভাত দিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। ফলে ১ মণ ধানের দামে নিতে হচ্ছে একজন শ্রমিক। চন্দনাইশের মাঠ জুরে সবুজের হাত ছানি। সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা সবুজ প্রকৃতির আমাদের এ বাংলাদেশের চন্দনাইশের জনপদ শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠের বুকে এখন সবুজের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। উপজেলার প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, চন্দনাইশে এবারে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৪শ ১৫ হেক্টর তা অর্জিত হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা আনন্দে রয়েছে। সরকারিভাবে ১ হাজার ৬০ টাকায় প্রতি মণ ধান ক্রয় করা হচ্ছে।