চন্দনাইশে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বর-কনেসহ শতাধিক অসুস্থ

5

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা মাসুমা কনভেনশন সেন্টারে গত ২৯ জুলাই দুপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বর-কনেসহ শতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে গতকাল রবিবার ভোর থেকে চমেক হাসপাতাল, চন্দনাইশ, পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চননগর পশ্চিম এলাহাবাদের মাজুল গনির ছেলে সালমান মাসুদের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নিহা’র গত ২৯ জুলাই দুপুরে বিবাহাত্তোর অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া চলছিল। বিয়েতে উভয়পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়। গতকাল রবিবার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা অসুস্থ হতে শুরু করে। এতে বর সালমান মাসুদ তার চাচা মো. জাফর (৫৫), চাচাতো ভাই আতিকুর রহমান (৮) সহ পরিবারের ৮ জন সদস্য অসুস্থ হয়। একইভাবে কনে নিহা ও তার পরিবারের ৫ জনের অধিক অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি বাবুর্চি নিজেও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বর-কনে ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্য চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়া বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতাল, পটিয়া ও চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পটিয়ার বিভিন্ন ক্লিনিকের বেশকিছু লোক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল শুক্কুর জানান, রবিবার ভোর রাত থেকে বিয়েতে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫০ জন পুরুষ-মহিলা বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে ডায়রিয়াজনিত রোগে ভর্তি হয়। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার ভোর রাতে গাছবাড়ীয়ার আনিস (১২), জোয়ারার জসিম (৩০), মোহাম্মদপুরের ময়না (১৩), তানহা (১৮), রৌশনহাট এলাকার হিরা (৩০), ফাহিম (১৭), গাছবাড়ীয়ার রুজিনা (৩৯), লোকমান (২২), দিদার (৩৮), নুরুনাহার (৬০), কাঞ্চনগরের মারুফ (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৪০), হারলার শাওন (২০), উত্তর জোয়ারা ফিরোজা খাতুন (৮০) সহ ১৫ জন ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মাসুমা কমিউনিটি সেন্টারের স্বত্ত্বা¡াধিকারী সেলিম উদ্দীন বলেন, তারা শুধু হল ও ফার্নিচার ভাড়া দিয়েছে। মেয়ের চাচা মো. হাশেম ক্লাব বুকিং দিয়েছেন, তারা বাবুর্চি ও খাবারের আয়োজন করেন।