চন্দনাইশে বিপদসীমার ওপরে শঙ্খের স্রোত

33

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শঙ্খ নদীতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোতে বিআইডব্লিউটিএ’র বালি ড্রেজারের ধাক্কা লেগেছে দোহাজারী ব্রিজে। শঙ্খ নদীর উভয় পাড়ের বাড়ি-ঘরগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শঙ্খ নদীতে গতকাল সকাল থেকে পানির স্রোত বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে বিআইডব্লিউটিএ’র বালি ড্রেজারের ধাক্কা লেগেছে দোহাজারী ব্রিজে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বালির ড্রেজারটি শঙ্খ নদীর ব্রিজের পূর্ব দিক থেকে প্রথমে রেল ব্রিজে ধাক্কা দেয়। পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দোহাজারী শঙ্খ নদীর উপর পুরাতন ব্রিজের একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ দোহাজারী। ইতোমধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে একটি টিম গার্ডার ব্রিজ রক্ষার কাজে ড্রেজারটি সরানোর পদক্ষেপ নিতে আসছে। অপরদিকে চন্দনাইশ পৌরসভার বরুমতি খালটি খননের পর থেকে বিভিন্ন অংশে ভাঙনের ফলে বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে। চন্দনাইশ পৌরসভার হারলা দুলার মার বাপের বাড়ি সংলগ্ন বরুমতি খালের একটি অংশ পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। ফলে ঐ বাড়ির ১৫ পরিবারের বসতঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। একইভাবে দক্ষিণ জোয়ারা বড় পাড়া এলাকায় বরুমতি খালের দক্ষিণ পাড় ভেঙে কয়েক একর রোপা ধান পলির নিচে তলিয়ে যায়।
পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা বলেন, বরুমতি খাল অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে খালের বিভিন্ন অংশ বার বার ভাঙনের কবলে পড়ে। খালের পাড়ের চওড়া ডিজাইন মতে না করায় ভাঙনের মুখে পড়ছে। ফলে বরুমতি খালের পাড়ের বাসিন্দারা বর্ষা মৌসুমে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে একাধিকবার বলা হয়েছে। গত সপ্তাহেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ঠিকাদার কর্তৃক খাল যথাযথভাবে খনন করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।