চন্দনাইশে প্রায় ২০ হাজার অধিক পরিবার পানিবন্দি

85

টানা ১০ দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে এবং পাহাড়ি ঢলের পানিতে চন্দনাইশে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ, দোহাজারী, ধোপাছড়ি, বরমা, বৈলতলী, বরকল এবং চন্দনাইশ সদর পৌর এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি শঙ্খনদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে চন্দনাইশ পৌরসভার জিহস ফকির পাড়া এলাকায় বরুমতি খালের পানি উপচে পড়ে পৌরসভার নয়াহাট, বড়পাড়া, হারলা, জিহস ফকির পাড়া, পূর্ব জোয়ারা, দক্ষিণ হারলা, নয়াপাড়া, দক্ষিণ গাছবাড়িয়া, নাথপাড়া, সাহিত্যিকপাড়া, ফকির পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্ল­াবিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় লোকজনের চলাচলে মারাত্মক বিঘিœত হচ্ছে। অবিরাম বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সহিদ মুরাদুল আলম সড়ক, কসাই পাড়া এলাকায় মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। শঙ্খনদী উপকূলীয় দোহাজারী, চাগাচর, রায়জোয়ারা, দিয়াকুল, কিল­øাপাড়া, জামিজুরী, পূর্ব দোহাজারী, হাশিমপুর, চন্দনাইশ পৌরসভা, কাঞ্চনাবাদ, বরকল, বরমা, ধোপাছড়ির, ছাপাছড়ি, ছিড়িংঘাটাসহ উপজেলার প্রতিটি এলাকার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে থাকা বর্ষাকালীন পুকুর, সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে কৃষকদের চরম ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যে সব কৃষক আউশ ধানের বীজতলা তৈরী করেছে তাদের বীজতলাও নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পানি ঢুকে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। উপজেলার গ্রামীন সড়কগুলো পানিতে ডুবে থাকায় মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বরকল ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেছেন, তার ইউনিয়নে অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ সড়ক ও মৎস্য ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতভাগ পুকুর, আউশ ও সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানি সরকার বলেছেন ইতিমধ্যে বেশকিছু সবজি ক্ষেত এবং বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে দীর্ঘ সময় ধরে পানি না নামলে বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার আংশকা রয়েছে বলে তিনি জানান।