চন্দনাইশে পৃথক সংঘর্ষে ৮ মহিলাসহ আহত ১৩

8

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, চর বরমা, হাসিমপুর এলাকায় পৃথক পৃথক সংঘর্ষে ৮ মহিলাসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গতকাল ২ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চননগর পশ্চিম এলাহাবাদে মৃত দানু মিয়ার ছেলে মাহমদুল হক (৫০), তার স্ত্রী আয়শা আক্তার (৪০), চর বরমা মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৫৫), তার স্ত্রী ছেমন আরা বেগম (৫৩), উত্তর হাশিমপুরের মামুনুর রশিদের স্ত্রী আমানুর বেগম (৩৫), সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫৯), মো. সেলিমের স্ত্রী খতিজা বেগম (৩০), মৃত আবদুল মালেকের স্ত্রী মোস্তফা খাতুন (৫০), মেয়ে নাজমা সুলতানা, শাকপুরার দিপংকর চৌধুরী স্ত্রী নীলা চৌধুরী (২৪), বাদামতলের সায়দুল হাসানের স্ত্রী নাহিদা আকতার (১৮) আহত হন। আহতদের মধ্যে মাহমদুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়, অন্যদেও চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।
অপরদিকে গত ২৯ ফেব্রæয়ারি রাতে চন্দনাইশ দরবার শরীফে আসা গরু,মহিষ নিয়ে উৎসব করার সময় স্থানীয় ২ শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রাতে একটি গ্রæপ ঐ এলাকার পশ্চিম মোহাম্মদ বাড়ি ও ফতে মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়িতে হামলা চালায়।
এই সময় আবদুল আজিজ, সিরাজুল ইসলাম, আবদুল কাদের, আবদুস সত্তার, ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের ঘর ভাংচুর করে। এই সময় একটি চায়ের দোকান ভাংচুর করে বলে স্থানীয়রা জানান।
তাছাড়া উভয়ই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেলাল উদ্দীনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৩৫), গিয়াস উদ্দীনের ছেলে রিয়াজ উদ্দীন (২৩), হাসিমপুরের মৃত আবদুস সবুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২২) আহত হয়। রেজিয়া বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দীন বাদি হয়ে গত ১ মার্চ রাতে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।