চন্দনাইশে পলিথিন নিষিদ্ধকরণে আইন আছে মানছেনা কেউ

115

প্ল­াস্টিক পদার্থের নিয়মিত ব্যবহার দ‚ষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে পলিথিন। অপচনশীল এ পদার্থ পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে। ফলে মাটি, পানি দ‚ষিত হয়ে যাচ্ছে। এতে খাল-বিল, নদী-নালা থেকে শুরু করে মহাসমুদ্র পর্যন্ত প্লাস্টিক পদার্থ ও প্লাস্টিক কণা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে উন্নত বিশ্বের প্রসিদ্ধ কোম্পানির বোতলজাত পানিতেও বিষাক্ত প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে বিশ্বের সকল স্তরের জীববৈচিত্র আজ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। অণুজীব থেকে শুরু করে তিমি মাছ পর্যন্ত মারাত্মক হুমকিতে। খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে অন্যান্য প্রাণিসহ আমরাও মারাত্মক হুমকিতে রয়েছি বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদদের মতে, প্লাস্টিক দ‚ষণ আমাদের নদী, সাগর, মহাসাগর ও ভ‚মিকে বিষাক্ত করছে, সামুদ্রিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, প্রতিটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে ২টি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। এগুলো দ্বারা ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামান্য বৃৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৩৫ লাখের বেশি টিস্যু ব্যাগ উৎ্পাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। এসব ব্যাগ পলিথিনের হলেও কাপড়ের ব্যাগ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার একটি সেমিনারে বলেছেন, প্লাস্টিক শুধু আসবাবপত্র বা পলিথিনের ভিতরে সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে নামিদামি কসমেটিক কোম্পানির সাবান, ফেইসওয়াশ, টুথপেস্ট, বডি স্প্রে, ডিটারজেন্ট ইত্যাদিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিতে মাইক্রোবিড নামক ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি দেখা যায়। এ সকল ক্ষতিকর পলিথিন চন্দনাইশের প্রতিটি বাজার ও দোকানে পণ্যের সাথে ক্রেতাদের দিলেও দেখার যেন কেউ নেই। এব্যাপারে সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।