চন্দনাইশে নৌকার প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সমাবেশ

18

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, কর্ণেল অলি বলে ছিলেন, খালেদা জিয়াকে রান্নাঘর থেকে ধরে এনে রাজনীতি করিয়েছেন। সে কর্ণেল অলি চন্দনাইশে ছাতা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। সে ছাতা ছিড়ে গেছে, ছাতার কাপড় নেই। ২০০১ সালে শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করেছিলেন। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট ছিল। মানুষ শান্তি চাই, কর্নেল অলির খুর বাহিনীর টর্চার সেল থেকে মুক্তি পেতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না। বেগম জিয়া চুরি করে জেলে গেছেন। তাকে মিথ্যা শান্তনা দিয়ে তার মুক্তির জন্য লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামবে বলেছিল নেতারা। কিন্তু তা হয়নি। কর্ণেল অলি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, কিসের বীর বিক্রম। রাজাকারদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তিনি কর্ণেল অলিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনও সময় আছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলে সম্পৃক্ত হয়ে, নিজের ভুল শোধরানোর আহবান জানান। গত ১১ ফেব্রূয়ারি চন্দনাইশ সদরস্থ শাহ আমিন পার্কে চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুল আলম খোকার সমর্থনে নির্বাচনী সমাবেশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি যথাক্রমে আবুল কালাম চৌধুরী, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ইমরান, গোলাম ফারুক ও মাহাবুবুর রহমান শিবলী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনুর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সীমান্ত তালুকদার, আহসান ফারুক, বলরাম চক্রবর্তী, কায়সার উদ্দিন চৌধুরী, মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।