চন্দনাইশে নির্দেশ অমান্য করে বসানো হয়েছে গরুর বাজার

39

উপজেলার ধোপাছড়িতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে দ্বিতীয় দফায় গোরুর বাজার বসলেও বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। গত ২৭ জুলাই অনুমোদন ব্যাতিরেকে ধোপাছড়ি চেমিরমুখ এলাকায় দ্বিতীয় দফায় গোরুর বাজার বসিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। একই স্থানে গত ২৪ জুলাই গোরুর বাজার বসার পর স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন। গত ২৭ জুলাই সকাল থেকে গরুর বাজার বসার ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করার পরও অবৈধ গরুর বাজার বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী বলেছেন, চন্দনাইশে কয়টি গরুর বাজার আছে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন থেকে গতকাল পর্যন্ত তালিকা দেয়া হয়নি।
ধোপাছড়ি চেমিরমুখ এলাকায় অবৈধভাবে গরুর বাজার বসার সংবাদ পেয়ে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন বলে জানান। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেনকে সকাল থেকে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে, বিকালে তিনি ফোন করার পর জানালেন, এত দূরে পাহাড়ি এলাকায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কিছু করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। ফলে সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হল বলে জানালেন স্থানীয়রা। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে দিনভর চলে গরু বেচাকেনা। পাশাপাশি সরকার হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্বও। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে গরুর বাজার বসানো হলেও কিছুই জানেনা স্থানীয় প্রশাসন। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সাপ্তাহিক বাজারের ইজারাদার গরুর বাজার বসানোর অনুমোদন না পাওয়া সত্বেও কিভাবে ধোপাছড়িতে এ অবৈধভাবে এ বিশাল বাজার বসানো হয়েছে তা নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় উঠেছে।