চন্দনাইশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করায় ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা জোরদার অভিযানের আহব্বান

241

চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসকে পূঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করার অভিযোগ পেয়ে গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাগিচাহাট, খাঁনহাট, কলেজ গেইট ও চন্দনাইশ সদরে অভিযান চালায়। এ সময় ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ হোসেন উপজেলার বাগিচাহাটে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এস.এম স্টোরের মালিক ওসমান গণিকে ১ হাজার টাকা, পণ্য পাটজাত মোড়কে বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ এর ১৪ ধারায় একই এলাকার ফেরদৌস স্টোরের মালিক জরি আহমদকে ১০ হাজার টাকা, আল মক্কা এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিক আহমদকে ১০ হাজার টাকা, ছিদ্দিক স্টোরকে ৩ হাজার টাকাসহ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) খাঁনহাটে অভিযান চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না টাঙ্গানোর অপরাধে- নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করায় খাঁনহাট এলাকার মো. ফোরকানকে ১০ হাজার, আবদুল ছবুরের ছেলে মো. ফজলুল করিমকে ৫ হাজার, মো. ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. ফোরকান উদ্দিনকে ১৫ হাজার, মৃত সাজের ঘোষের ছেলে রতন ঘোষকে ২০ হাজার, গাছবাড়িয়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে সাইফুর রহমানকে ৫ হাজার, আবদুল হাশিমের ছেলে আবদুল আলিমকে ৫ হাজার, আবু জাফরের ছেলে মো. নজরুলকে ৫ হাজার, চন্দনাইশ সদরে আলমগীরের ছেলে রবিউল হাসানকে ৫ হাজার, ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. বাবুকে ৫ হাজার টাকাসহ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চন্দনাইশে দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি সাধারণ ক্রেতাকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এরমধ্যে প্রশাসনের আরও জোরালো তৎপরতা আশা করছে ক্রেতা সাধারণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে চন্দনাইশের বিভিন্ন পণ্যের দাম দেড় থেকে দু’গুন বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি মাছ মাংসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৯ মার্চ বিকেল থেকে সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে শুরু করে। প্রতিটি দোকানে ঈদের আগের রাতের মতো সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে ঘরে মজুদ রাখার জন্য ভিড় করছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতি বস্তা চালের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। একইভাবে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকা, মশুর ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম পূর্বের থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে বলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে থানা ওসি কেশব চক্রবর্ত্তী বলেছেন, আমরা ইউএনও’র সাথে অভিযান পরিচালনা করছি। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য জেলা পর্যায়ে একটি কমিটিও রয়েছে।