চন্দনাইশে ছিনতাইকৃত টাকা মোবাইল সেটসহ আটক ১

36

চন্দনাইশ থানা পুলিশ গাছবাড়ীয়া কলেজ গেইট এলাকা থেকে ছিনতাই মামলার আলামতসহ ১ জনকে আটক করে। সে গত ১৪ মে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টের্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জানা যায়, গত ৯ মে পটিয়ার ব্যবসায়ী বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া গ্রামের মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. ফজরুল ইসলাম (৩৪) তার ব্যবসার চালানের টাকা ২ জনকে ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে বিকেলে তারই বন্ধু জানে আলমের বড় ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় পক্কীমার্কা এলাকায় দেখতে যায়। দেখে ফেরার পথে গাছবাড়ীয়া পেট্রোল পাম্প এলাকায় ৩ জন ছিনতাইকারী তাকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সা (চট্টগ্রাম-থ-১১-১২২৯) এ তোলে নিয়ে ছৈয়দাবাদ পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে দেড় ঘন্টা আটক রেখে তার নিকট থাকা ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও ব্যাবহারের স্যামসাং মোবাইল সেট (মূল্য ২২ হাজার) ছিনিয়ে নেয় এবং ছেড়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গত ১৩ মে বিকালে কলেজ গেইট এলাকা থেকে ছিনতাইকারীদের সদস্য পূর্ব সাতবাড়িয়া বাদশা পাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে মো. রুবেল (২৭) কে আটক করে। গত ১৪ মে রুবেল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টের্ট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় বলে জানিয়েছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. খাজু মিয়া। ভিকটিম ফজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত মো. রুবেল, উত্তর হাশিপুরের আজম খানের ছেলে মো. এমরান হোসেন (২৮), মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. হাসান (১৯), আবদুস সালামের ছেলে মো. মিন্টু (২০) কে আসামি করে গত ১৩ মে রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ রুবেলকে আটক করে এবং তার নিকট থেকে ছিনতাইয়ের ২৫ হাজার টাকা, মোবাইল সেট উদ্ধার করে। একই সাথে রুবেল ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের নাম উল্লেখ করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জুডিশিয়ার ম্যাজিস্টেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে জানিয়েছেন এসআই মো. খাজু মিয়া। সে সাথে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।