চন্দনাইশে গ্রাম পুলিশকে মারধর করায় থানায় অভিযোগ

19

চন্দনাইশে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করায় গ্রাম পুলিশকে মারধর করে আহত করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। গত ২৮ আগস্ট উপজেলার বরকল ইউনিয়নের কানাইমাদারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একইদিন তার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ৪/৫ জনকে আহত করে এবং আসবাবপত্র ভাংচুুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এব্যাপারে আহত গ্রাম পুলিশ দিদারুল বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রে জানা যায়, বরকল ইউনিয়নের কানাইমাদারী এলাকার মো. জাবেদ হোসেন (৩৫) কে পুলিশ মাদক মামলার ওয়ারেন্টমূলে গ্রেপ্তার করার সময় একই এলাকার মৃত আমিনুল হক চৌকিদারের ছেলে গ্রাম পুলিশ দিদারুল হক (২৪) পুলিশকে সহযোগিতা করে। এ অপরাধে তাকে মাদক মামলার আসামী জাবেদ হোসেনের লোকজন গত ২৮ আগষ্ট (শুক্রবার) জুমার নামাজের পূর্বে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এদিকে জুমার নামাজের পর পর তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামী পক্ষের লোকজন তার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় দিদারকে উদ্ধার করতে আসা তার মা মিনজু আকতার (৪০), ছোট ভাই মনিরুল হক (২০) বোন সিদরাতুল মুনতাহা (১৫) আহত হয়। আহতদের চন্দনাইশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে চৌকিদার দিদারুল হক ৫ জনকে আসামী করে গত ২৯ আগষ্ট বিকালে থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে বরকল ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেছেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়া চৌকিদারের কাজ। পুলিশকে সরকারি কাজে সাহায্য করাও তার কাজ। তার দায়িত্ব পালনে তাকে কেউ মারধর করলে তা অবশ্যই অপরাধের আওতায় পড়ে। এব্যাপারে পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন সরকার বলেছেন, গ্রাম পুলিশকে মারধরের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।