চন্দনাইশে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

53

চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত ও সময় মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় চন্দনাইশের বিভিন্ন বিলে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে সংসারের অভাব ঘুচাতে আমন ধান রোপণে আগ্রহ দেখাচ্ছে তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের সবকটি বিলে পুরোদমে চলছে আমন ধানের চাষাবাদ।
ভারিবর্ষণ আর অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে সাঙ্গু ও চানখালির অববাহিকায় ২ নদীর উভয়পাশে প্রতিবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে চলছে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চাঙ্গা হচ্ছে কৃষক। আমন রোপণের কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
কৃষক জরি আহমদ, মনির আহমদ, আবদুল আজিজ ও কমল দাশ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুসারে কোনো ধানি জমি যেন খালি না থাকে, সে লক্ষে চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকেরা পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন। বিগত সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপনে কৃষকেরা অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে বিগত সময়ে ধানের দাম ভাল পাওয়ায়। সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে কৃষকেরা ধান বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। তাই চলতি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে চাষাবাদে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ আহমদ, নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রান্তিক কৃষকরা জানান, চন্দনাইশ পৌর এলাকার আড়ালিয়া, চাম্বার বিল, সুচিয়া, হারলা বিলে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষাবাদে অতিরিক্ত টাকা দাবি করার অভিযোগ করেছেন। প্রতি কানি (৪০ শতক) জমি আড়ালিয়াতে ৩ চাষে ১ হাজার ৫শ টাকা।
অপরদিকে পার্শ্ববর্তী চাম্বার বিলে প্রতি কানি ২ হাজার টাকা আদায় করায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া সময়মত জমিতে চাষ না দেওয়ায় ধানি জমি চাষাবাদে উপযুক্ততা হারাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ হাজার ১শ ৮০ হেক্টর জমির আমন ধানের চাষাবাদের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারিত হয়। আশা করছি লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। এতে রয়েছে ৫শ হেক্টরে হাইব্রিড, ৩শ স্থানীয় জাতের এবং অবশিষ্ট জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের উফশী চাষাবাদ হচ্ছে বলে তিনি জানান।