চন্দনাইশে আউশ ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

124

চন্দনাইশে চলতি মৌসুমে কৃষকরা আউশ ধান চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকদের ঘরে আগের মতো সে আনন্দ নেই। চাষাবাদের মাধ্যমে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষক। চন্দনাইশে আমন চাষাবাদে কৃষকরা তাদের জমিতে আউশ ধান লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটের কথা ভেবে ফসল উৎপাদনে জোড় দিতে বলেছেন সরকার। এদিকে ধানের উৎপাদন বাড়াতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আগের বছরগুলোর তুলনায় ধানের চাষ ও ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লে­খযোগ্য হারে। পুরো বিশ্ব ও দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটের কথা বিবেচনা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার দিকে জোর দিচ্ছেন সরকার। জানা যায়, চলতি বছর চন্দনাইশে ২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। এখনো কিছু অংশ আবাদী জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার হাশিমপুর, দোহাজারী, ধোপাছড়ি, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, বৈলতলী ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও কম বেশি আউশ ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আউশ ধান চাষে অতিরিক্ত তেমন পানি প্রয়োজন হয় না, বৃষ্টির পানিতেই চাষ করা যায়। অল্প সময়েই ফসল ঘরে তোলা যায়। এছাড়াও বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে চন্দনাইশ কৃষি অফিস থেকে ৯৫০ জন কৃষকের মাঝে আউশ ধানের প্রণোদনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৯৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে আউশের বীজ সহায়তা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কোন জমি যাতে খালি পড়ে না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার বলেছেন, এবারের আমন মৌসুমে কৃষকরা অন্যান্য জাতের পাশাপাশি আউশ ধান লাগানোর আগ্রহ বেড়েছে। আউশ চাষাবাদে অনেক খরচ কম। এ জাতের ধানে উচ্চ ফলন হয়। হাশিমপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. জাকের হোসেন জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তার সাড়ে চার বিঘা জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন। আউশ ধান চাষে খুব একটা খরচ হয় না। তাছাড়াও কীটনাশক ও সার ব্যবহারে প্রয়োজন হয় না। কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয় সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কোন জমিই যাতে অনাবাদী পড়ে না থাকে সেজন্য মাঠ পর্যায়ে তাদের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪’শ ৭০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩শ ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কৃষকেরা রোপা আমনের বীজতলা তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।