চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে কমেছে পাসের হার, বেড়েছে জিপিএ ৫

85

পূর্বদেশ অনলাইন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ঢাকা ৯০.০৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ড ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট ৭৮.৮২ শতাংশ, ও দিনাজপুর ৮১.১৬ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ৮২.২২, ও কারিগরি বোর্ডে ৮৯.৫৫ শতাংশ। এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ। চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ এ তথ্য জানান। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ২১৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯২টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৭ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ৭৭ হাজার ৩৭৯ জন। পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৩.৫৯ শতাংশ কম। ছাত্র পাসের হার ৮৭.৩৩ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ২.৮১ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৮৭.৬৯ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ কম। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১৮ হাজার ৬৬৪ জন যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৮৭৩ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৭৭৫ জন যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩৯৩ জন বেশি এবং ছাত্রী ১০ হাজার ৮৮৯ জন যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৪৮০ জন বেশি। এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬.৮১ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৭৮.৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৯১.৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জন। চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৯৪.২১ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ১.০৭ শতাংশ কম, মহনগর ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৮৭.৬৪ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮৯.১১ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৮.৪৫ শতাংশ, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৮১.৬০ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৭৫.৬৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭৮.৩৬ শতাংশ। সকল সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। জিপিএ ৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ ৫ বেড়েছে ৩ হাজার ৪৮০টি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকায়ও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। দুপুর ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে। কারণ গতবার শুধুমাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সে তুলনায় ফলাফল এগিয়েছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। http://www.educationboardresults.gov.bd/ ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।