চট্টগ্রাম শহরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি যুগে যুগে

9

মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার

চট্টগ্রাম শহরের কোলঘেঁষে প্রবাহিত কর্ণফুলীর উজানে নদীর দু’ক‚ল অববাহিকায় পাহাড়ঘেরা শ্যামল বৃক্ষরাজি, বিশাল শস্যভাÐার গুমাইবিল, ঘাগড়া-ইছামতি-শিলক খাল বিধৌত উর্বরাঞ্চল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় অপরূপ ভূখÐটির নাম ‘রাঙ্গুনিয়া’। আঞ্চলিক ভাষায় একে ‘রাইন্যা’ বলা হয়। মোগল স¤্রাট হোসেন শাহ্র শাসনামলে মগ জাতি অধ্যুষিত এ অঞ্চলের অধিকাংশ মগ তাদের বসতিস্থান ত্যাগ করতে থাকে। তখন তাদের ভাষায় একে ‘রাইন্যা’ বলতে শুরু করে। ইতিহাসবিদদের মতে কালক্রমে ‘রাইন্যা’-র বিবর্তনে ‘রাঙ্গুনিয়া’ নামকরণ হয়। এর আয়তন ১৩৪.২৬ বর্গমাইল বা ৩৭৪.৭২ বর্গকিলোমিটার। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর রাউজান থানা থেকে এটি পৃথক ও স্বতন্ত্র থানায় পরিণত হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ আগস্ট উপজেলায় উন্নীত হয়। ১০ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ থানায় পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫-তে উন্নীত হয়। ইউনিয়নগুলো হল, ১. রাজানগর, ২. হোসনাবাদ, ৩.স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, ৪.মরিয়মনগর, ৫. পারুয়া, ৬. পোমরা, ৭.বেতাগী, ৮.সরফভাটা, ৯. শিলক, ১০. পদুয়া, ১১. চন্দ্রঘোনা কদমতলী, ১২.কোদালা, ১৩. ইসলামপুর, ১৪. দক্ষিণ রাজানগর, ১৫. লালানগর। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই পারুয়া, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, মরিয়মনগর ও পোমরা ইউনিয়নের অংশ নিয়ে পৌরসভা সৃষ্টি হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী। দাক্ষিণে চন্দনাইশ ও পটিয়া উপজেলা। পূর্বে কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলা এবং পশ্চিমে বোয়ালখালী ও রাউজান উপজেলা। এর আয়তন উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৩০ মাইল ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১০ মাইল। রাঙ্গুনিয়াবাসীর চট্টগ্রাম শহর যাতায়াত ছিল ইছামতি ও শিলক খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীপথ। তখন থেকে উচ্চ শিক্ষার্জন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরির সুবাদে রাঙ্গুনিয়ার জনগণ চট্টগ্রাম শহরে বসবাস শুরু করে। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামটি সড়ক সৃষ্টির পর কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও চন্দ্রঘোনায় এশিয়া বিখ্যাত পেপার মিল ও রেয়ন মিল স্থাপনের সুবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক নির্মিত হয়। ফলে রাঙ্গুনিয়াবাসীর শহর যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হয়ে উঠে।
৬০-এর দশকে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন সচেতন গুণীজ্ঞানী ও সমাজচিন্তাশীল ব্যক্তিদের উদ্যোগে পারষ্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি, সমাজকল্যাণ ও জনহিতকর কর্মে ভূমিকা এবং রাঙ্গুনিয়াবাসীর কল্যাণে ‘রাঙ্গুনিয়া সমিতি চট্টগ্রাম’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন গঠিত কমিটির আহŸায়ক ছিলেন ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী (সরফভাটা) এবং সদস্য সচিব ছিলেন প্রফেসর মাওলানা আহমদ কবির সিরাজী (সরফভাটা)। ১৫ আগস্ট ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও প্রফেসর মাওলানা আহমদ কবির সিরাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। এতে সদস্য ছিলেন মৌলভী আহমদ মিয়া (মরিয়মনগর), ডা. ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম এমপি (চন্দ্রঘোনা), প্রিন্সিপ্যাল এ এ রেজাউল করিম চৌধুরী (সরফভাটা), অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট এম এইচ এম আবুল কাশেম চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), আহমদ করির চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), আবদুস সোবহান সওদাগর (মরিয়মনগর), সেকান্দর মিয়া সওদাগর (মরিয়মনগর), প্রফেসর মোহাম্মদ হাসান (দক্ষিণ রাজানগর), অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন খান (রাঙ্গুনিয়া পৌরএলাকা), পেশকার মো. শামসুল হুদা (সৈয়দবাড়ী পৌরএলাকা), ডা. আবুল হোসেন (স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া), আহমদ হোসেন সওদাগর (স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া), জামাল আহমদ (মরিয়মনগর), জালাল আহমদ (মরিয়মনগর), পোস্ট মাস্টার জেনারেল আবদুল কাদের (শিলক), পোস্ট মাস্টার মৌলভী আজিজুল ইসলাম (চন্দ্রঘোনা), মো. খালেদ চৌধুরী (বেতাগী), ডা. আবুল বশর মো.নূরুল আলম (চন্দ্রঘোনা), আবুল মনসুর মো. শামসুল আলম (চন্দ্রঘোনা), মাওলানা জালাল উদ্দিন (চন্দ্রঘোনা), মনির আহমদ (হোসনাবাদ), অ্যাডভোকেট মো. হানিফ (দক্ষিণ রাজানগর), শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (হোসনাবাদ), অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), সিরাজুদ্দৌলাহ্ চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), এসএম জাহাঙ্গীর পাশা (দক্ষিণ রাজানগর), মির্জা নূরুন্নবী (হোসনাবাদ), নূরুল আবছার চৌধুরী (লালানগর), ডা. নূরুল ইসলাম চৌধুরী (পোমরা), কবির আহমদ (ঘাটচেক পৌরএলাকা), মো. খায়রুল আমিন (ঘাটচেক পৌরএলাকা), জহির আহমদ চৌধুরী (লালানগর), অ্যাডভোকেট মহেন্দ্র বসাক (লালানগর), ডা. আজমল হোসেন খান (রাঙ্গুনিয়া পৌরএলাকা), মরমী গবেষক সৈয়দ আহমদুল হক (বেতাগী), কাজী মফিজুল হক (সরফভাটা), ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ (সরফভাটা), মৌলভী কবির আহমদ সওদাগর (সরফভাটা), আবদুল গফুর কন্ট্রাক্টর (রাঙ্গুনিয়া পৌরএলাকা), আবু আহমদ ফিরোজুল আনোয়ার আবু কোম্পানী (সৈয়দবাড়ী পৌরএলাকা), মীর সোলতান আহমদ (লালানগর), এবিএম শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নূরুল ইসলাম (লালানগর), টিএইচ চৌধুরী (দক্ষিণ রাজানগর), টি হোসেন চৌধুরী (লালানগর), ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফ সওদাগর (ঘাটচেক পৌরএলাকা), ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক সোনামিয়া সওদাগর (ঘাটচেক পৌরএলাকা), ফজল আহমদ চৌধুরী (চন্দ্রঘোনা) প্রমুখ।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘রাঙ্গুনিয়া সমিতি চট্টগ্রাম’ পুনর্গঠিত হয়। তখন কেসিদে রোডস্থ তার ‘ল্যাব’ অফিস এবং পরে বাÐেল রোডস্থ তার ‘চেম্বার’-এ সমিতির দাফ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিছুকাল ইউপি চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা তালুকদারের ফিরিঙ্গীবাজারস্থ ‘হোটেল বনরূপা’য় সমিতির কার্যক্রম চলেছিল। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী স্বাধীনতা পূর্বাপর সময় থেকে শহরে বসবাসরতদের পুনরায় সংগঠিত করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারী কমিটি পুনর্গঠনের জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোডস্থ উকিল আহমদ তালুকদারের ‘হোটেল শুকতারা’য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট এম এইচ এম আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীকে সভাপতি, উকিল আহমদ তালুকদার ও মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীকে সহ-সভাপতি, সিএসকে ছিদ্দিকীকে সাধারণ সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা তালুকদারকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামানকে কোষাধ্যক্ষ, আহমদ শফি চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, আবদুল ওহাব চৌধুরীকে সমাজকল্যাণ সম্পাদক, আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে দফ্তর সম্পাদক, মাস্টার হরিলাল সাহাকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মাস্টার আবদুল গফুরকে সাহিত্য সম্পাদক, আহমদ সৈয়দকে প্রচার সম্পাদক এবং ডা. আবুল হোসেন, আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ আহসান, আবুল কাসেম চৌধুরীকে নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করা হয়। অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট এম এইচ এম আবুল কাশেম চৌধুরী, সৈয়দ আহমদুল হক, প্রিন্সিপ্যাল এ এ রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রিন্সিপ্যাল সন্তোষ ভূষণ দাশ ও অধ্যাপিকা ড. জয়নাব বেগমকে উপদেষ্টা করা হয়। কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার, বজল আহমদ, অধ্যাপক মো. আজিজুল হক, মো. শাহাদাত হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নূরুল ইসলাম, আবদুল হাকিম তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমাম উদ্দীন, অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের চৌধুরী, ডা. এমএ হোসেন চৌধুরী কাঞ্চন, ডা. আবুল হোসেন, টিএইচ চৌধুরী, টি হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এম এন আলম, মাস্টার হরিলাল সাহা, অধ্যাপক ফেরদৌস চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন, প্রকৌশলী নীরদ বরণ বড়–য়া, প্রকৌশলী হোসেনুজ্জামান, কাজী মো. শামসুল আলম, এম শাহ্ আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, এম সাদেক চৌধুরী, অধ্যাপক এম এন আনোয়ার, প্রকৌশলী তাজ মোহাম্মদ, আবুল কাশেম চিশ্তী, মোহাম্মদ বশির, হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান নজুমুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক মীর কাশেম তালুকদার, দেশপ্রিয় তালুকদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, অলি আহমদ তালুকদার, ফজলুল কাদের সিকদার। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন অধ্যাপক জোৎ¯œা বিকাশ বড়ুয়া, মাস্টার একেএম মহসিন, তরণী সেন বড়ুয়া, বেগম নিলুফার জালাল, মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারকে কার্যকরী কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভায় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীকে আহŸায়ক ও মাস্টার হরিলাল সাহা, সিএসকে ছিদ্দিকী, দেশপ্রিয় তালুকদার ও মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারকে সদস্য করে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। তখন সমিতির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-এর বিধি ও কাঠামো অনুযায়ী প্রণীত গঠনতন্ত্রের খসড়া ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থাপন করা হয়। ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় তা চূড়ান্ত করা হয় এবং ২ ডিসেম্বর সমিতির সাধারণ সম্পাদক সি এস কে ছিদ্দিকী তা সমাজসেবা অধিদপ্তরে পেশ করেন। রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারী তা আনুমোদন দেন। রেজি. নাম্বার : সি/৬৬৩-৭৮। এর পর থেকে সমিতির কার্যক্রমে গতিশীলতা আসে।
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর গঠনতন্ত্রের আলোকে প্রথম কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। এতে ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী সভাপতি, উকিল আহমদ তালুকদার, মাস্টার হরিলাল সাহা ও ইউপি চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা তালুকদার সহ-সভাপতি, সিএসকে ছিদ্দিকী সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন সহ-সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মো. আজিজুল হক কোষাধ্যক্ষ, এম সাদেক চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাই সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ফজলুল কাদের সিকদার দফ্তর সম্পাদক, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী সাংস্কৃতিক সম্পাদক, আবদুল হান্নান ক্রীড়া সম্পাদক, মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার সাহিত্য সম্পাদক, অধ্যাপক এম এন আনোয়ার পাঠাগার সম্পাদক, দেশপ্রিয় তালুকদার প্রচার সম্পাদক, সুমিতা মুৎসুদ্দি মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং ডা. কাজী মো. ইউসুফ, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নূরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়–য়া, মোহাম্মদ নূরুল আলম এমপি, আকতার কামাল চৌধুরী, প্রকৌশলী তাজ মোহাম্মদ, আখতার হোসেন দুলাল ও এম আজিজ নঈমী নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। সাধারণ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক জোৎ¯œা বিকাশ বড়ুয়া, মাস্টার একেএম মহসিন, মাস্টার আবদুল গফুর, তিমির বরণ চৌধুরী, বেগম নিলুফার জালাল, আহমদ শফি চৌধুরী, আবদুল ওহাব চৌধুরী, আহমদ সৈয়দ, আবদুল মান্নান চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ আহসান, হরেকৃষ্ণ সাহা, আবুল কাসেম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার, বজল আহমদ, তরণী সেন বড়ুয়া, আবু আহমদ ফিরোজুল আনোয়ার, মো. সাদেকুন নূর সিকদার, সাবেক এমপি মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল কাশেম চৌধুরী, আবদুল হাকিম তালুকদার, ডা. এম এ হোসেন চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, টি এইচ চৌধুরী, টি হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এম এন আলম, অধ্যাপক এ এ আতাউল করিম চৌধুরী, অধ্যাপক ফেরদৌস চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন, প্রকৌশলী নীরদ বরণ বড়–য়া, প্রকৌশলী হোসেনুজ্জামান, এম শাহ্ আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, আবুল কাশেম চিশ্তী, মোহাম্মদ বশির, হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান নজুমুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক মীর কাশেম তালুকদার, অলি আহমদ তালুকদার।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারী গঠনতন্ত্রের আলোকে পুনর্গঠিত কার্যকরী পরিষদে ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীকে সভাপতি, উকিল আহমদ তালুকদার, মাস্টার হরিলাল সাহা ও ইউপি চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা তালুকদারকে সহ-সভাপতি, সি এস কে ছিদ্দিকীকে সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মো. আজিজুল হককে কোষাধ্যক্ষ, এম সাদেক চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাইকে সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ফজলুল কাদের সিকদারকে দফ্তর সম্পাদক, আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, আবদুল হান্নানকে ক্রীড়া সম্পাদক, মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারকে সাহিত্য সম্পাদক, অধ্যাপক এম এন আনোয়ারকে পাঠাগার সম্পাদক, দেশপ্রিয় তালুকদারকে প্রচার সম্পাদক, সুমিতা মুৎসুদ্দিকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়–য়া, মোহাম্মদ নূরুল আলম এমপি, আকতার কামাল চৌধুরী, প্রকৌশলী তাজ মোহাম্মদ, আখতার হোসেন দুলাল, এম আজিজ নঈমীকে নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এতে সাধারণ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক এ এ আতাউল করিম চৌধুরী, ডা. কাজী মো. ইউসুফ, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নূরুল ইসলাম, তরণী সেন বড়ুয়া, আহমদ শফি চৌধুরী, আবদুল ওহাব চৌধুরী, মাস্টার আবদুল গফুর, তিমির বরণ চৌধুরী, আহমদ সৈয়দ, আবদুল মান্নান চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ আহসান, হরেকৃষ্ণ সাহা, আবুল কাসেম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার, বজল আহমদ, বেগম নিলুফার জালাল, আবু আহমদ ফিরোজুল আনোয়ার, মো. সাদেকুন নূর সিকদার, সাবেক এমপি মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল কাশেম চৌধুরী, আবদুল হাকিম তালুকদারঅধ্যাপক ডা. ইমাম উদ্দীন, অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের চৌধুরী, ডা. এমএ হোসেন চৌধুরী কাঞ্চন, ডা. আবুল হোসেন, টি এইচ চৌধুরী, টি হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এম এন আলম, অধ্যাপক ফেরদৌস চৌধুরী, অধ্যাপক রণজিৎ কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক জোৎ¯œা বিকাশ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট কেএম আবু জাফর, নূরুল ইসলাম চৌধুরী দুলা খলিফা, প্রকৌশলী নীরদ বরণ বড়–য়া, প্রকৌশলী হোসেনুজ্জামান, এম শাহ্ আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, আবুল কাশেম চিশ্তী, মোহাম্মদ বশির, হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান নজুমুল হক চৌধুরী, মনোজ বড়–য়া, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ লিয়াকত আলী নূর, অধ্যাপক সৈয়দ মীর কাশেম তালুকদার, প্রকৌশলী মিহির বরণ সাহা রায়, মো. ওসমান গনি চৌধুরী, অলি আহমদ তালুকদার। [ বাকী অংশ আগামী সংখ্যায় ]
লেখক : মানবাধিকার গবেষক, সুশাসন সংগঠক ও শিক্ষক

 

 

১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রæয়ারী পুনর্গঠিত কার্যকরী পরিষদে ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী সভাপতি, উকিল আহমদ তালুকদার, মাস্টার হরিলাল সাহা ও অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার সহ-সভাপতি, সিএসকে ছিদ্দিকী সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন সহ-সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মো. আজিজুল হক কোষাধ্যক্ষ, এম সাদেক চৌধুরী সংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক আবদুল হাই সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ফজলুল কাদের সিকদার দফ্তর সম্পাদক, মো. ওসমান গনি চৌধুরী সাংস্কৃতিক সম্পাদক, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী ক্রীড়া সম্পাদক, মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার সাহিত্য সম্পাদক, অধ্যাপক এম এন আনোয়ার পাঠাগার সম্পাদক, দেশপ্রিয় তালুকদার প্রচার সম্পাদক, সুমিতা মুৎসুদ্দি মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়–য়া, মোহাম্মদ নূরুল আলম এমপি, আকতার কামাল চৌধুরী, প্রকৌশলী তাজ মোহাম্মদ, আখতার হোসেন দুলাল, এম আজিজ নঈমী নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। এতে সাধারণ সদস্য ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নূরুল ইসলাম, আহমদ শফি চৌধুরী, আবদুল ওহাব চৌধুরী, মাস্টার আবদুল গফুর, তিমির বরণ চৌধুরী, আহমদ সৈয়দ, আবদুল মান্নান চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ আহসান, হরেকৃষ্ণ সাহা, তরণী সেন বড়ুয়া, আবুল কাসেম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার, বজল আহমদ, মো. সাদেকুন নূর সিকদার, সাবেক এমপি মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল কাশেম চৌধুরী, আবদুল হাকিম তালুকদার, ডা. কাজী মো. ইউসুফ, বেগম নিলুফার জালাল,অধ্যাপক ডা. ইমাম উদ্দীন, অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের চৌধুরী, ডা. এমএ হোসেন চৌধুরী কাঞ্চন, ডা. আবুল হোসেন, টি এইচ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এম এন আলম, কাজী মো. জামাল হোসেন, অধ্যাপক ফেরদৌস চৌধুরী, অধ্যাপক রণজিৎ কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক জোৎ¯œা বিকাশ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট কে এম আবু জাফর, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ লিয়াকত আলী নূর, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাইয়িদ আহমদ তালুকদার, প্রকৌশলী নীরদ বরণ বড়–য়া, প্রকৌশলী জ্ঞানবিকাশ সাহা, প্রকৌশলী হোসেনুজ্জামান, প্রকৌশলী শাহ্ মুহাম্মদ আখতার, এম শাহ্ আলম চৌধুরী, মো. ইসমাঈল, আবুল কাশেম চিশ্তী, মোহাম্মদ বশির, হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান নজুমুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক মীর কাশেম তালুকদার, মীর মো. ফজলুল হক, অলি আহমদ তালুকদার, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী মনু, সাংবাদিক এবিএম ছাদেক, প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমদ।
১৯৮১ হতে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আজীবন সদস্যপদ লাভকারীদের মধ্যে যারা মারা যান, তারা হলেন ১. এম এইচ এম আবুল কাশেম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ১/৮১), ২. ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ২/৮১), ৩.টি এইচ চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৪/৮১), ৪. নূরুচ্ছাফা তালুকদার (আজীবন সদস্য নম্বর ৫/৮১), ৫. বজল আহমদ (আজীবন সদস্য নম্বর ৬/৮১), ৬. সৈয়দ আহমদুল হক (আজীবন সদস্য নম্বর ৭/৮১), ৭.অধ্যক্ষ এ এ রেজাউল করিম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৮/৮১), ৮.অধ্যক্ষ সন্তোষ ভূষণ দাশ (আজীবন সদস্য নম্বর ৯/৮১), ৯.এ বি এম শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ১০/৮১), ১০.অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুল হক (আজীবন সদস্য নম্বর ১৪/৮১), ১১. অ্যাডভোকেট নূরুচ্ছাফা তালুকদার (আজীবন সদস্য নম্বর ১৬/৮১), ১২. এম সাদেক চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ১৭/৮১), ১৩.মোহাম্মদ ইসহাক (আজীবন সদস্য নম্বর ১৮/৮১), ১৪.মোহাম্মদ ইউসুফ এমপি (আজীবন সদস্য নম্বর ২২/৮৫), ১৫.অ্যাডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়ুয়া (আজীবন সদস্য নম্বর ২৪/৮৫), ১৬.টি হোসেন চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ২৫/৮৫), ১৭. আবদুল ওহাব চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ২৬/৮৫), ১৮. বেগম নিলুফার জালাল (আজীবন সদস্য নম্বর ২৭/৮৫), ১৯. আবুল কাশেম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৩০/৮৫), ২০. মাস্টার আবদুল গফুর (আজীবন সদস্য নম্বর ৩১/৮৫), ২১. আজিজুল ইসলাম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৫/৮৫), ২২. দেশপ্রিয় তালুকদার (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৭/৮৫), ২৩. এম এ মান্নান চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৮/৮৫)।
জীবিতদের মধ্যে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্যরা হলেন ১.উকিল আহমদ তালুকদার (৩/৮১), ২. কাজী এম এন আলম (আজীবন সদস্য নম্বর ১১/৮১), ৩. প্রকোশলী তাজ মোহাম্মদ (আজীবন সদস্য নম্বর ১২/৮১), ৪. এম শাহ্ আলম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ১৩/৮১), ৫.অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান (আজীবন সদস্য নম্বর ১৫/৮১), ৬.অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাই (আজীবন সদস্য নম্বর ১৯/৮১), ৭.সি এস কে ছিদ্দিকী (আজীবন সদস্য নম্বর ২০/৮১)। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্য হলেন ৮. মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার (আজীবন সদস্য নম্বর ২১/৮২)। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্যরা হলেন ৯. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এমপি (আজীবন সদস্য নম্বর ২৩/৮৫), ১০.আকতার কামাল চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ২৮/৮৫), ১১.মোহাম্মদ নূরুল আলম এমপি (আজীবন সদস্য নম্বর ২৯/৮৫), ১২.অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. এম রফিকুল আলম (আজীবন সদস্য নম্বর ৩২/৮৫), ১৩. মোহাম্মদ আবদুল হাকিম তালুকদার (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৩/৮৫), ১৪. অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৪/৮৫), ১৫.অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৬/৮৫)। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্যরা হলেন ১৬. মোহাম্মদ আখতার হোসেন দুলাল (আজীবন সদস্য নম্বর ৩৯/৮৭), ১৭. অধ্যাপক এম এন আনোয়ার (আজীবন সদস্য নম্বর ৪০/৮৭), ১৮. অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৪১/৮৭), ১৯. অ্যাডভোকেট এম এ নাসের চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৪২/৮৭), ২০. অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ লিয়াকত আলী নূর (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৩/৮৭)। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্যরা হলেন ২১.প্রকৌশলী কাজী মোস্তফা মঈন (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৪/৯০), ২২. অধ্যাপিকা ড. জয়নাব বেগম (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৫/৯০), ২৩. আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ আহ্সান (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৬/৯০), ২৪. আবদুল হান্নান (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৭/৯০), ২৫.অধ্যাপক এম এ সালাম (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৮/৯০)। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে সনদপ্রাপ্ত আজীবন সদস্যরা হলেন ২৬.মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৪৯/৯৫), ২৭.মোহাম্মদ আবু জাফর (আজীবন সদস্য নম্বর ৫০/৯৫), ২৮.ইউছুফ জামাল (আজীবন সদস্য নম্বর ৫১/৯৫), ২৯. চৌধুরী সায়েফুদ্দিন রাশেদ ছিদ্দিকী (আজীবন সদস্য নম্বর ৫২/৯৫), ৩০. অ্যাডভোকেট নিজামুল ইসলাম সরফী (আজীবন সদস্য নম্বর ৫৩/৯৫), ৩১.মাওলানা হাফেজ কাজী মুহাম্মদ খাইরুল আনোয়ার (আজীবন সদস্য নম্বর ৫৪/৯৫), ৩২. এম আজিজ নঈমী (আজীবন সদস্য নম্বর ৫৫/৯৫), ৩৩.তিমির বরণ চৌধুরী (আজীবন সদস্য নম্বর ৫৬/৯৫)।
সমিতির কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৯১ থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের বিভিন্ন সময়ে যারা সদস্য হয়েছেন তারা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. লোকামনুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোনাফ সিকদার, নূর মোহাম্মদ খান, মো. শামসুল আলম, ইলিয়াস হায়দার, আবু মুছা মো. শামসুদ্দিন শেলু, মাওলানা মোহাম্মদ আতাউর রহমান, রাখাল চন্দ্র দাশ গুপ্ত, আনোয়ারুল করিম তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম বাদল, মো. শাহ্জাহান চৌধুরী, অধ্যাপকআহসানুল হক, প্রফেসর ড. এনএইচএম আবু বকর, প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যাপক বাদল বরণ বড়–য়া, মাস্টার মুহাম্মদ নূরুচ্ছাফা, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মো. ইব্রাহীম খলিল, মো.নূরুল হক তালুকদার, মো. আজম খান, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল করিম মিনা, অধ্যক্ষ এএনএম ইউসুফ চৌধুরী, অধ্যাপক চৌধুরী আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, প্রফেসর ড. মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আজিজুল ইসলাম তালুকদার,মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, মো. শামসুল আনোয়ার, দীপক জ্যোতি আইচ, এনামুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান এম এম মান্নান চৌধুরী, এ এইচ এম হাবীব উল্লাহ্, শেখ মো. মুবিনুল হক, শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সুজাউদ্দীন, ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ডা. এস এম আবুল ফজল, সিকদার গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ, কাজী মো. জসিম, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, অডিটর মো. নূরুল আলম, এ এইচ মাহবুবুল হক, মো. কায়কোবাদ চৌধুরী, এম এ রহিম, মুহাম্মদ ইদ্রিস তালুকদার, কানু মজুমদার, কবিয়াল বাবুল বিশ^াস, এএম নূরুল আবছার চৌধুরী, ডা. কাজী এমএ বশর, ডা. খোরশেদ আলম, খাজা সেলিম জাহাঙ্গীর বাহাদুর শাহ্, মাস্টার আবুল কাশেম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, অ্যাডভোকেট এসইউএম নূরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হারুন, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন, অ্যাডভোকেট মো. হারুন, অ্যাডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, এএইচএম ইলিয়াছ করিম, মশিউর রহমান চৌধুরী ইমরান, কাজী জাহেদ ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল আহমদ, প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল কাদের তালুকদার, কাজী মোহাম্মদ মুসা, নঈম উদ্দীন মাহমুদ,প্রকৌশলী প্রবীর সাহা, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, ডা. সুকুমার নন্দী, মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের, মাওলানা কাজী মোস্তফা কলিম, মাওলানা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ নূরুন্নবী, মো. দিদারুল আলম চৌধুরী, মো. সাজ্জাদ মাহমুদ, ডা. এএসএম শওকতুল ইসলাম, এ এস এম আমিরুল ইসলাম, প্রদীপ দাশ, দীপক কুমার দাশ।
১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণীঝড় ও প্লাবনে রাঙ্গুনিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়া সমিতি চট্টগ্রাম-এর ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সমিতির ভাবমর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গুনিয়ার কৃতিসন্তানদের ‘সংবর্ধনা ও সম্মাননা’ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এর ভিত্তিতে ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১১ কৃতি সন্তানকে স্ব স্ব কর্মে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ‘গুণীজন সংবর্ধনা ও রাঙ্গুনিয়া সমিতি পুরষ্কার ২০০৪’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন ১. চুয়েট ভিসি অধ্যাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ২. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী, ৩. চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ মুহাম্মদ আখতার, ৪. পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি খোদা বখশ চৌধুরী, ৫. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, ৬. ঢাকা চকবাজার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ্, ৭. বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-এর সদস্য মৃগাঙ্ক বড়–য়া, ৮. চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ নাসির চৌধুরী, ৯. অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট এম এইচ এম আবুল কাশেম চৌধুরী (মরণোত্তর), ১০. ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদ প্রফেসর মাওলানা আহমদ কবির সিরাজী (মরণোত্তর), ১১. শিক্ষানুরাগী ইসকান্দর আহমদ চৌধুরী (মরণোত্তর)। সমিতির সভাপতি ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী আবদুল্লাহ্ আল নোমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী, প্রধান আলোচক ছিলেন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সাবেক পরিচালক মরমী গবেষক সূফী সৈয়দ আহমদুল হক, আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. এন এইচ এম আবু বকর, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, তৎকালীন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর তৎকালীন কুরআনিক সায়েন্স এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তালুকদার। সমিতির সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক লায়ন সিএসকে ছিদ্দিকী।
‘হোটেল শুকতারা’র পুননির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এবং সমিতির সভাপতি ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় সমিতির কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। এ অবস্থা-পরিস্থিতির এক পর্যায়ে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে অধ্যাপক এম এন আনোয়ারের নাসিরাবাদ জিইসি মোড়স্থ ‘মেডি কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এবং পরে নূরনগরস্থ তার ‘সায়েন্স ইনস্টিটিউট’-এ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরপর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটস্থ শেখ মো. মুবিনুল হকের ‘আল্সাফা ট্র্যাভেল এজেন্ট’ অফিসে সমিতির সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হয় এবং নতুন করে ‘আজীবন সদস্য’ সংগ্রহ করে কার্যকরী পরিষদ পুনর্গঠিত হয়। এতে ডা. নূরুল আমিন চৌধুরীকে সভাপতি, অধ্যাপক এম এন আনোয়ার, মোহাম্মদ বশির, ইঞ্জিনিয়ার তাজ মোহাম্মদ, মো. ইফতেখার হোসেন ও লায়ন সিএসকে ছিদ্দিকীকে সহ-সভাপতি, এস এম মুবিনুল হককে সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, নূরুল আজিম বাবুল ও এমদাদুল আজিজ চৌধুরীকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. লোকমান হোসেন তালুকদারকে অর্থ সম্পাদক, মো. ইউনুছ মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ আয়ুবকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট সেকান্দর চৌধুরীকে আইন বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট এম রেজাউল করিমকে সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, মাস্টার মো. ইদ্রিচ মিঞাকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক, অ্যাডভোকেট মীর আমজাদ হোসেনকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরীকে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার অলি আহমদকে সমাজকল্যাণ সম্পাদক, নূর মোহাম্মদ আজাদকে সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার মির্জা ফজলুল কাদেরকে পাঠাগার সম্পাদক, ডা. মোহাম্মদ সেলিমকে স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, জসিম উদ্দিন শাহ্কে দফ্তর সম্পাদক, হারুন আল্ রশীদকে ক্রীড়া সম্পাদক, এম আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার বাবুলকে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, শামীম-এ জান্নাতকে মহিলা বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক এবং অধ্যাপক মো. ইউনুস চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল আহমদ, অডিটর মো.নূরুল আলম, কাজী মো. জসিম, আবদুল মালেক, ডা. মো. কাশেম, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা ইকবাল টিপু, মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন, এ এইচ মাহাবুবুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল কাদের তালুকদার, অধ্যক্ষ মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আইয়ুব, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার ও রেজাউল করিম মঞ্জুকে নির্বাহী সদস্য করা হয়। উকিল আহমদ তালুকদারকে উপদেষ্টা চেয়ারম্যান, বজল আহমদ, বেগম নিলুফার জালাল, অ্যাডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়–য়া, ডা. এম এ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, তরণী সেন বড়–য়া, ইঞ্জিনিয়ার নীরদ বরণ বড়–য়া, কাজী এম এন আলম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাই, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ ইউসুফ এমপি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এমপি, মোহাম্মদ নূরুল আলম এমপি, এম সাদেক চৌধুরী, মোহাম্মদ নূরুল আমিন ও ডা. খোরশেদ আলমকে সদস্য করে ‘উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করা হয়। এ কার্যকরী পরিষদের উদ্যোগে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল ‘ইছামতি’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয় এবং মেজবানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মরহুম ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী তার সুযোগ্য পুত্র ড. নওশাদ আমিন চৌধুরী সবুজ-এর জাপান সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত বৃত্তির সমুদয় অর্থ এবং জাপানের ‘মিদুরি-বাংলা ফাউন্ডেশন’ কর্র্তৃক প্রদত্ত অনুদান দ্বারা রাঙ্গুনিয়ার মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘শিক্ষা বৃত্তি’ প্রবর্তন করেন। একটি নীতিমালার আলোকে ‘শিক্ষা বৃত্তি’র সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে তিনি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘রাঙ্গুনিয়া ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। লায়ন সিএসকে ছিদ্দিকীকে সচিব ও মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ারকে সমন্বয়ক করা হয়। প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোহাম্মেল হক, প্রফেসর ড. এম রফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা আ ম ম শামসুল আলম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সন্তোষ ভূষণ দাষ, প্রফেসর ড. এন এইচ এম আবু বকরকে নিয়ে ফাউন্ডেশনের ‘উপদেষ্টা বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি শিক্ষা বিস্তার ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রেখে যান। তিনি কোন সময় অর্থলোভী ছিলেন না। সমিতি পরিচালনায় অসংশ্লিষ্ট কারো থেকে অর্থ সংগ্রহ করেননি সেচ্ছাশ্রমে সংগঠন পরিচালনার পরামর্শ দিতেন। যারা তার মিশনের সহকারী-সহযোগী ও আস্থাভাজনদের বলতেন নিজের মেধা, অর্থ, শ্রম ও সময় দিয়ে যেন রাঙ্গুনিয়াবাসীর সেবায় ভূমিকার রাখবেন। তিনি সর্বদা পরোপকারী, সদালাপী, পরমতসহিষ্ণু ও রাঙ্গুনিয়াপ্রেমী ছিলেন।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে কদম মোবারক মুমিন রোডস্থ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের ‘রাজ্জাক হাইট্স’-এ নতুনভাবে সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়। এতে অধ্যাপক এম এন আনোয়ারকে আহŸায়ক, লায়ন সিএসকে ছিদ্দিকীকে যুগ্ম আহবায়ক, ইঞ্জিনিয়ার তাজ মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, এমদাদুল আজিজ চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, এএইচ মাহবুবুল হক, অডিটর মো. নূরুল আলম, রেজাউল করিম মঞ্জু, নূরুল আজিম বাবুল, এম আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার বাবুল, অধ্যক্ষ মো. আবু ইউসুফ, মো. লোকমান হোসেন তালুকদার, জসিম উদ্দিন শাহ্, মো. নজরুল ইসলাম, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন তালুকদারকে সদস্য করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির তত্ত¡াবধানে সমিতির ‘আজীবন সদস্য’ সংগ্রহ ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলে আসছে। ঐতিহ্যবাহী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংস্থা-সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই যুগে যুগে সচল, স¤প্রসারণ ও পুনর্গঠন করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় যারা অফিসের ব্যবস্থা করেছেন এবং মেধা অর্থ শ্রম দিয়ে সমিতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন সবাইকে সাধুবাদ জানাই। সমিতির মরহুম/প্রয়াত আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের ভূমিকা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আত্মার শান্তি কামনা করছি। জীবিতদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সমিতির যুগোপোযোগী কার্যক্রমে গতিশীলতা আনায়নে উদীয়মান সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী খালেদ মাহমুদের প্রশংসনীয় ভূমিকা আমাদের প্রাণীত করেছে। আমরা তার সময়োচিত পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সমিতির স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন প্রত্যাশী। আশাকরি তার উদ্যোগে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রবীণ-নবীন সদস্যদে সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ ‘কার্যকরী পরিষদ’ ও ‘উপদেষ্টা পরিষদ’ পুনর্গঠিত হবে। আমরা আরো আশাবাদী, সমিতির তথ্যসমৃদ্ধ ‘স্মরণিকা’ প্রকাশে উদ্যোগ নেওয়া হবে। মেজবানের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়াবাসীর মিলনমেলার আয়োজন করা হবে। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন, আমীন।
তথ্যপঞ্জি ও সূত্র :
১. রাঙ্গুনিয়া সমিতির নথি, কার্যবিবরণ
২. স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ।
৩. রাঙ্গুনিয়া সমিতি চট্টগ্রামের স্মরণিকা ‘ইছামতি’ ২০০৫।
৪. নীরবে চলে গেলেন রাঙ্গুনিয়াপ্রেমী ডা. নূরুল আমিন চৌধুরী। সিএসকে ছিদ্দিকী, মাসিক রাঙ্গুনিয়া কণ্ঠ ৩য় বর্ষ, ৭ম সংখ্যা ২০০৭।
লেখক : মানবাধিকার গবেষক, সুশাসন সংগঠক ও শিক্ষক।