চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচন ১৫ নভেম্বর

55

চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতি (চফুখেস)-র কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তফসিল ঘোষণা করেন সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আহবায়ক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ নভেম্বর। এদিন সকাল ৯টা হতে শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। মাঝখানে দুপুর ১টা হতে ২:১৫ টা পর্যন্ত জুমার নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য বিরতি থাকবে।
এবারের নির্বাচনযোগ্য পদের নাম ও সংখ্যার মধ্যে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ: সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, সহ-দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক, আপ্যায়ন সম্পাদক, পাঠাগার সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের পদ রয়েছে একটি করে এবং সহ সভাপতির পদে চারজন, যুগ্ম সম্পাদক দুইজন এবং সদস্য হিসেবে ১৫টি পদ রয়েছে। এর আগে তফসিলের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ২০ অক্টোবর, খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি গ্রহণ করা হবে ২০ থেকে ২২ অক্টোবর, দাখিলকৃত খসড়া ভোটার তালিকার আপত্তির উপর শুনানী ও নিষ্পত্তি হবে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর। চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ২৫ অক্টোবর, মনোনয়ন পত্র বিক্রি ও দাখিল ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর। মনোনয়ন পত্র বাছাই ২৮ অক্টোবর, বৈধ মনোনয়ন পত্রে তালিকা প্রকাশ ২৯ অক্টোবর, মনোনয়ন পত্র বাতিলের উপর আপত্তি গ্রহণ ২৯ ও ৩০ অক্টোবর। মনোনয়ন পত্র বাতিলের উপর দাখিলকৃত আপত্তির উপর শুনানী ৩১ অক্টোবর। চ‚ড়ান্তভাবে বৈধ মনোনয়ন পত্রের তালিকা প্রকাশ ১ নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ২ নভেম্বর। প্রার্থীদের চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ৩ নভেম্বর। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ নভেম্বর। ঐ দিন ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। প্রজ্ঞাপন আকারে সরকারিভাবে চ‚ড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে ১৮ নভেম্বর।
নির্বাচনের শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে-খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর আর কাউকে নতুন করে নিবন্ধন বা ভোটার না করা। প্রতি সেট খসড়া বা চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা নগদ পাঁচশত টাকার বিনিময়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় হতে সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতিটি মনোনয়ন পত্র পাঁচশত টাকার বিনিময়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। একজন প্রার্থী একাধিক পদের জন্য মনোনয়ন পত্র ক্রয় ও দাখিল করতে পারবেন তবে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি মাত্র পদের জন্য মনোনয়ন পত্র রেখে বাকী মনোনয়নপত্র সমূহ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সকল মনোনয়ন পত্রই বাতিল বলে গণ্য হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় মনোনয়ন পত্রের সাথে সভাপতি পদের জন্য সাত হাজার টাকা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পাঁচ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি চার হাজার টাকা, সাধারণ সম্পাদক ছয় হাজার টাকা, সদস্য দুই হাজার টাকা এবং অন্যান্য প্রতিটি পদের জন্য তিন হাজার টাকা নগদ এবং অফেরতযোগ্য নির্বাচনী ফি নির্বাচন কমিশন বরাবরে জমা দিতে হবে। নির্বাচনের প্রার্থীকে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। একজন ভোটার বিভিন্ন পদে যতটি ভোট দেয়ার অধিকার প্রাপ্ত, সে পদ সমূহে ততজন প্রার্থীর জন্য প্রস্তাবক বা সমর্থক হতে পারবেন। তবে এডহক কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ নির্বাচনে প্রার্থী এবং কোন প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থকও হতে পারবেন না। কিন্তু ভোটার তালিকায় তাদের নাম থাকলে ভোট দিতে পারবে। প্রার্থীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নামের ক্রমানুসার নির্ধারণ করা হবে।
ভোটারদেরকে সাধারণ সভা উপলক্ষে প্রদত্ত কার্ডটি অবশ্যই গলায় ঝুলিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিকট তা প্রদর্শন করতে হবে। প্রদত্ত কার্ডের পেছনে যে নাম্বার দেয়া হয়েছে সেটি তার ভোটার নাম্বার হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা ইতোমধ্যে কার্ড সংগ্রহ করেননি তাদেরকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে চফুখেস অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এর মধ্যে কেউ কার্ড হারিয়ে ফেললে সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবিসহ দুইশত টাকা নগদ প্রদান পূর্বক উল্লেখিত তারিখের মধ্যে ডুপ্লিকেট কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
যে সকল ভোটার স্ব-শরীরে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া স্বাপেক্ষে শারীরিক সমস্যার কারণে নিজের ভোট নিজে প্রদান করতে অসমর্থ হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভোট প্রদান করতে পারবেন। কেউ যদি জাল ভোট দেয়ার সময় ধরা পড়লে ভোটের দিন দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোপর্দ করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারী মামলা করা হবে। মোবাইল ফোনসহ কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বা যন্ত্রাদি নিয়ে ভোট প্রদানের জন্য গোপন কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের বিপরীতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট প্রদান করতে হবে। একজন ভোটার সহ-সভাপতি পদে চার জনকে, যুগ্ম সম্পাদক পদে দুই জনকে, সদস্য পদে ১৫ জনকে এবং অন্যান্য সব পদে এক জনকে ভোট করতে পারবেন।
যদি একাধিক ব্যালট পেপার থাকে সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যালট পেপার আলাদা ভাবে ভাজ করে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাকে ভাজ করা অবস্থায় ব্যালট সমূহ প্রদর্শনপূর্বক তার সম্মুখে রক্ষিত ব্যালট বক্সে ফেলতে হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আওতাধীন কোন স্থান বা স্থাপনায় চিকা কাগজের পোস্টার লাগানো যাবে না। তবে কাগজের পোস্টার/কাপড়/সিনথেতিক এর ব্যানার/ ঝুলন্ত ব্যানার/ ফেস্টুন টাঙ্গানো যাবে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে আলোকে আর্থিক জরিমানা করা হবে এবং নির্ধারিত সময়ে মধ্যে জরিমানা পরিশোধ না করলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। নির্বাচনের দিন সিজেকেএস এর মূল অফিস ভবনের সামনের মাঠে (প্রশিক্ষণ মাঠ) প্রার্থীগণ নির্বাচনি ক্যাম্প তৈরি করে অবস্থান করতে পারবেন। এ তফসিল বা এ তফসিল বহির্ভূত কোন বিষয়ে জানতে হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে অফিস চলাকালীন জানা যাবে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা বা সিদ্ধান্তই চ‚ড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
তপশিল ঘোষণার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন আহমেদ, দীপক বড়–য়া, আশীষ ভদ্র, আ ন ম কুদ্দুস, নজরুল ইসলাম লেদু, এসএম শহীদুল ইসলাম, আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল এবং শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।