চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে জাহাজ চালুর প্রথম ট্রিপেই বিপত্তি

180

চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে সরাসরি জাহাজ সার্ভিস চালুর প্রথম ট্রিপেই বিপত্তি ঘটেছে। দুই সপ্তাহে প্রথমবার এই সার্ভিস চালু করেছিল জার্মানভিত্তিক শিপিং কম্পানি হ্যাপাগ-লয়েড। জাহাজটি এক হাজার ৭০০ একক আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল গত ২৮ সেপ্টেম্বর। পণ্য নামিয়ে এক হাজার ৪০০ একক রপ্তানি পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে কলম্বো বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই কি গ্যান্ট্রি ক্রেনে ক্ষতির অভিযোগে জাহাজটি আটক করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময়েও জাহাজের ক্ষতিপূরণের হিসাব তৈরি করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ওই দুই বন্দরে অন্তত সাড়ে তিন হাজার একক পণ্য আটকা পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে জাহাজটিকে।
জাহাজটির শিপিং এজেন্ট হ্যাপাগ-লয়েডের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জাহাজের ক্ষতিপূরণ নিরূপণে নিয়োজিত পিঅ্যান্ডআই ক্লাব হাল অ্যান্ড মেশিনারির ক্যাপ্টেন আহমেদ রুহুল্লাহ বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনো ক্ষতিপূরণের হিসাব না দেওয়ায় আমরা সেটি যাচাই করতে পারিনি। এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসাব মাত্র দুই দিনে করার কথা। একটি নিয়মিত জাহাজ এভাবে আটক করায় বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’ বন্দর, বার্থ অপারেটর ও শিপিং লাইন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘হানসা রেন্সডবার’ জাহাজটিকে সরাসরি চলাচলের জন্য অনুমতি দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এরপর নিয়মানুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর বন্দরের নিজস্ব পাইলট তানভীর সেই জাহাজ চালিয়ে বহির্নোঙর থেকে বন্দরের এনসিটিতে নিয়ে আসেন। আমদানি পণ্য নামানোর পর জাহাজটি আটক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ হচ্ছে, জাহাজটি জেটিতে ভেড়ার সময় এনসিটির কি গ্যান্ট্রি ক্রেনকে ধাক্কা দেয়। এতে ক্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৯ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার লিখিতভাবে শিপিং এজেন্টকে জানান, হাসা রেন্সডবার জাহাজটি এনসিটি-৫-এর ৮ নম্বর কি গ্যান্ট্রি ক্রেনকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ কারণে এটি আটক করা হয়েছে।