চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

12

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ যুবরাজ (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার আজিজ নগর সংলগ্ন উত্তর হারবাং কলাতলী সিটি গেইট এলাকায় ড্রাম ট্রাক ও সবজি ভর্তি পিক-আপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন যুবরাজ। তিনি সুয়ালক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে বলে জানা গেছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৩৭) ও নুরুল হকের ছেলে মো. আব্দুল আজিজ (৩৮)।
জানা গেছে, আব্দুল মতিনের তিন সন্তানের মধ্যে দু’টি মেয়ে ও অপরজন ছেলে। দেখতে অনেকটা সুন্দর হওয়ায় ছেলের নাম রাখা হয় যুবরাজ। যুবরাজ কর্মজীবনের শুরুতে গাডী চালনা শিখে মালবাহী মাহিন্দ্রা চালনা শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করে অর্জিত অর্থ সঞ্চয় করে নিজে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সবজি ব্যবসা শুরু করেন। সবজির মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় সুলতানপুর থেকে সবজি নিয়ে চকরিয়া ও মহেশখালীতে নিয়ে যেতেন।
গত বৃহস্পতিবারও প্রতিদিনের মতো সবজি নিয়ে যাওয়ার সময় আজিজনগর এলাকায় ট্রাকের সাথে যুবরাজের সবজি ভর্তি মিনি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় যুবরাজ। আহত হয় সুলতানপুরের আরো দুই বাসিন্দা যথাক্রমে আব্দুল মোতালেব ও আব্দুল আজিজ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবরাজের লাশ শুক্রবার (গতকাল) ভোররাতে সুলতানপুর এসে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ যুবরাজের মরদেহ একবার দেখতে ভিড় করেন। শান্ত ও ভদ্র যুবরাজের আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। কৃষি ক্ষেত খামারে কর্ম করে খাওয়া মানুষের আবাসস্থল সুলতানপুর। যুবরাজের মৃত্যুতে কেউ কোনো কাজে যোগ দেয়নি গতকাল শুক্রবার। সকলের মাঝে বিরাজ করছে শোকের ছায়া।
শুক্রবার সকাল দশটায় নামাজে জানাযার পর পারিবারিক কবরস্থানে যুবরাজকে দাফন করা হয়।