‘চট্টগ্রাম এখন জনবিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে’

12

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,চট্টগ্রাম এখন জনবিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে। আমরা বারবার যেটা অনুমান করছিলাম বর্ষার মৌসুম আসার আগেই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে পুরনো নগরী জলে ডুবে যাবে সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। যারা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। গত ১৯ জুন পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে উপরোক্ত কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই পাহাড় ধসে প্রতিবছরই নিহত হয়। কিন্তু কোনো স্থায়ী ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সরকার। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটা রোধ কখনোই সম্ভব না।
ভূমি মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পাহাড়ের পাদদেশে যারা আছে তাদেরকে পুনর্বাসন করলে স্থায়ীভাবে পাহাড় ধসে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিবছরই দাবি করে আসছি ভূমিধসের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার সেলিম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, থানা বিএনপির সহ সভাপতি রেহান উদ্দিন প্রধান,জামাল কোম্পানি, যুগ্ম সম্পাদক পলাশ চৌধুরী,ফরহাদ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আবু হানিফ,সম্পাদক মন্ডলী সাহাব উদ্দিন, শেখ জামিল,শফি মাস্টার,মীর জাহাঙ্গীর, আকবরশাহ থানা জাসাস সভাপতি আ. হান্নান শিবলী,আকবরশাহ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইউনুছ, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক তাজ উদ্দিন লিটন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি