চট্টগ্রামে ৪৮তম শীতকালীন ক্রীড়ায় গোলাপ অঞ্চলের শিরোপা লাভ

54

খুলনা ও বরিশাল শিক্ষা উপ-অঞ্চল নিয়ে গঠিত গোলাপ অঞ্চল জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন আসরের অ্যাথলেটিক্স শিরোপা অক্ষুন্ন রেখেছে। টানা এক যুগ ধরে এই অঞ্চলের ক্রীড়াবিদরা অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে রাজত্ব করে আসছে। এখনও তাদের ১২ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি অন্য কোন অঞ্চল। গত ২২ জানুয়ারি থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হওয়া ৪৮তম শীতকালীন ক্রীড়া আসরের অ্যাথলেটিক্সে ২৯৩ পয়েন্ট লাভ করে এই কৃতিত্ব দেখায় গোলাপ অঞ্চল। পাঁচদিনের এই আসরে রানার্সআপ ট্রফি লাভ করে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট শিক্ষা উপ-অঞ্চল নিয়ে গঠিত বকুল অঞ্চল। বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, নোয়াখালীর আহমদিয়া আদর্শ স্কুল ও ফেনীর বিষ্ণুপুর স্কুলের ক্রীড়াবিদদের কল্যাণে বেশ কয়েক বছর পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে সক্ষম হয়। চার অঞ্চলের মধ্যে বকুল অর্জন ১৪৫ পয়েন্ট।
এছাড়া চার অঞ্চলের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে খুলনার দিখলিয়া ফাতেমা মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র ইকরামুল হোসেন, বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্র জুবাইল ইসলাম বালক বড় গ্রুপে। খুলনার বয়রা মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র রফিকুল ইসলাম, নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট স্কুলের ছাত্র মাহাফুজ হোসাইন বালক মধ্যম গ্রæপে। ঝিনাইদহের ফজর আলী গালর্স স্কুলের ছাত্রী জুয়ায়রিয়া ফেরদৌস ও নড়াইলের লোহাগড়া পাইলট সরকারি স্কুলের ছাত্রী নমিতা কর্মকার বালিকা বড় গ্রুপে। মানিকগঞ্জের রাজিবপুর বহুমুখী স্কুলের ছাত্রী কবুরী আক্তার ঝিনাইদহের ফজর আলী গালর্স স্কুলের ছাত্রী নাদিরা আক্তার বালিকা মধ্যম গ্রুপে ব্যক্তিগত নৈপুন্যের কারণে সেরা ক্রীড়াবিদের খেতাব লাভ করেন।
গতকাল শনিবার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে চারদিনের প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, মাউশি’র পরিচালক প্রফেসর আবদুল মালেক, প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও আয়োজক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম, সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর শওকত আলম, জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সম্পাদক মো. আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আবু তাহের, সহকারি মূল্যায়ণ অফিসার ড. শুক্লা রক্ষিত প্রমুখ। সহযোগিতায় ছিলেন মাউশি’র শারীরিক বিভাগের ক্রীড়া সংগঠক রাশেদ মজুমদার, মো. আলমগীর, গোলাম মোস্তফা, রাজু মজুমদার প্রমুখ।