চট্টগ্রামে টিকার আওতায় ২৭ লাখ ৪১ হাজার মানুষ

12

ফারুক আবদুল্লাহ

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি গণহারে টিকাদানের কোনো বিকল্প নেই। আর সরকারও টিকাদান কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৪১ হাজার মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। আর এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা ও মহানগরে টিকা মজুদ আছে সর্বমোট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯২ ডোজ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে গেলে জনসংখ্যার ৭০ ভাগকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এজন্য টিকা কার্যক্রম সহজ করে গণহারে টিকা প্রদানের জন্য মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ৫০ শতাংশ এবং আগামি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় এনেছি। এছাড়া অতি শিগগিরই ১২ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে সর্বমোট টিকার আওতায় এসেছে ২৭ লাখ ৪১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ জন সিনোফার্ম, ১ লাখ ৮০০০ জন আস্ট্রাজেনেকা এবং ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ জনকে মডার্নার টিকা প্রদান করা হয়। আর উপজেলায় সিনোফার্ম, আস্ট্রাজেনেকা এবং মডার্নার প্রথম ডোজ দেওয়া হয় ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৪ জনকে। মহানগরে এসব টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয় ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪০১ জনকে। একইভাবে উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয় ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৭১ জন এবং মহানগরে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয় ৫ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ জনকে।
এছাড়া গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে টিকা মজুদ ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯২ ডোজ। এর মধ্যে উপজেলায় সিনোফার্মের ১ লাখ ৭১ হাজার ৩১৩, আস্ট্রাজেনেকার ৬৯২ ডোজ টিকা মজুদ ছিল। আর মহানগরে সিনোফার্মের ৯৩ হাজার ৬৫৮, আস্ট্রাজেনেকার ৪ হাজার ১৬৭ এবং মডার্নার ২৩৬ ডোজ টিকা মজুদ ছিল। সিভিল সার্জন অফিসে সিনোফার্মের ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০, আস্ট্রাজেনেকার ২০ আর মডার্নার ৫৬ ডোজ টিকা মজুদ ছিল।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রামে টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে উপজেলায় ১৮ লাখ ৬ হাজার ৭০৬ জন এবং মহানগরের ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৭১৪ জন রয়েছে।
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। আর জেলা ও মহানগরে টিকা মজুদ আছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯২ ডোজ।
তিনি বলেন, ব্যক্তি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে সবাইকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।