নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর থেকে কাজের সন্ধ্যানে চট্টগ্রাম নগরীতে আসেন ফাতেমা বেগম রিমা। গত ২২ নভেম্বর দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ে ফাতেমার ১১ মাস বয়সী শিশু শর্মিলী চুরি হয়ে যায়। চুরির নয়দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শিশু শর্মিলীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চোর এবং চুরি করা শিশুটিকে কিনে নেয়া এক দম্পতিকে। শিশুটিকে উদ্ধার করার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, কাউসার হোসেন বাবু (২৮), গোলাম হোসেন (৩২) ও লাকি আক্তার (২৮)।
ফাতেমার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তিনি গত ২০ নভেম্বর চাকরির খোঁজে যশোর থেকে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে পরিচিত কেউ না থাকায় তিনি পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানে কাউসারের সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয়। তিনি কাউসারকে চাকরির কথা বলেন। কাউসার নিজের মোবাইল নম্বর ফাতেমাকে দিয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যান। ২২ নভেম্বর অলঙ্কার মোড়ে আসেন তারা। শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি কথা বলে কাউসার এক পর্যায়ে সটকে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউসার ফিরে না আসায় ফাতেমা এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাকে (কাউসার) ফোন করেন। ফোনে কাউসার দ্রæত আসার কথা বলে পরে মোবাইল বন্ধ করে দেন। ঘটনার পর ফাতেমা যশোরে ফিরে যান। আটদিন পর বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ফাতেমা তার স্বজনদের নিয়ে পাহাড়তলী থানায় এসে অভিযোগ করেন।
নগর পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, অভিযোগ পাবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাউসারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কেরাণীগঞ্জে গোলাম হোসেন-লাকী দম্পতির হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, কাউসার শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকদিন রেখে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে গোলাম হোসেন-লাকী দম্পতির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এক হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে বাকি টাকা চুক্তি সম্পাদনের পর নেয়ার কথা ছিল।
