চট্টগ্রামে একমাসেই ৯৭ মৃত্যু জরুরি বাড়তি সতর্কতা

25

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও করোনায় প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি মাসেই করোনায় শুধুমাত্র চট্টগ্রামেই ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাসের আরও ৬ দিন বাকী। ফলে খুব শীঘ্রই গত বছরের জুন মাসের সর্বোচ্চ ৯৮ জনের মৃত্যু রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। এ বছর এপ্রিলের ২৪ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। ফলে জুন-জুলাইয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃত্যু বাড়ার কারণ হিসেবে যথা সময়ে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসাথে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শও তাদের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। যা ছাড়িয়ে গেছে গত বছরের একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরপর চলতি মাসে ধারাবাহিকভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১২ এপ্রিল ৭ জন, ১৩ এপ্রিল ৫ জন, ১৪ এপ্রিল ২ জন, ১৬ এপ্রিল ৮ জন, ১৭ এপ্রিল ৭ জন, ১৮ এপ্রিল ৭ জন, ১৯ এপ্রিল ৫ জন, ২০ এপ্রিল ৮ জন, ২১ এপ্রিল ৫ জন, ২২ এপ্রিল ৩ জন, ২৩ এপ্রিল ২ জন ও ২৪ এপ্রিল ৪ করোনা রোগী মারা যায়। এছাড়াও ১০ এপ্রিল ৫ জন, ৯ এপ্রিল ৩ জন, ৮ এপ্রিল ৬ জন, ৭ এপ্রিল ৩ জন, ৬ এপ্রিল ১ জন, ৫ এপ্রিল ২ জন, ৪ এপ্রিল ৪ জন, ২ এপ্রিল ১ জন এবং পহেলা এপ্রিল ২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে। ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছিলো তখন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ৮ জন, মে মাসে ৬৮ জন, জুলাই মাসে ৫৮ জন, আগস্ট মাসে ৩৭ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ২১ জন, অক্টোবর মাসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান পূর্বদেশকে বলেন, ভ্যাকসিন আসার ফলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসছে। ফলে মানুষ আগের মত করোনা ভাইরাসকে সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না। করোনাকালের শুরুর দিকে রোগীরা আইসোলেশন ও চিকিকৎসাকে গুরুত্ব সহকারে নিত। তবে বর্তমানে রোগী মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। এতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে সংক্রমণও। মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০৫ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা মুক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৯৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪ হাজার ৯৩৪ জন ও বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৮৬০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এক হাজার ৪২২ জন।