চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস উদ্বোধনে সেনাপ্রধান

17

 

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও যুগপোযোগী সেনাবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং আন্তরিকতায় জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস নির্মাণ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ২টি বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার আর্মি এভিয়েশন গ্রæপের বহরে অন্তর্ভুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস উদ্বোধন এবং বিমান বাহিনীর বহরে ২টি বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টারের অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।খবর বাসসের। সেনাপ্রধান এ ধরনের মহতী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
চট্টগ্রামে ফরোয়ার্ড বেস স্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বিমান সহযোগিতা প্রদান পূর্বের চেয়ে সহজ হবে এবং এতে খরচও অনেক কমে আসবে। সোমবার আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে বিমান সহায়তা প্রদান করা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে লালমনিরহাট ও চট্টগ্রামে পৃথক দু’টি এভিয়েশন বেস স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, ২০২০ সালের ৩ মার্চ লালমনিরহাট সেনানিবাসে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের নবনির্মিত হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়।
আধুনিক সেনাবাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে আর্মি এভিয়েশনে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক হেলিকপ্টার ও সামরিক বিমান। বর্তমানে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে অত্যাধুনিক বিমান ও হেলিকপ্টার সংযুক্তির ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার যুক্ত হলো ২টি অত্যাধুনিক বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ দু’টি হেলিকপ্টার নবীন বৈমানিকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও বিভিন্ন আভিযানিক প্রয়োজনে-যেমন বিমান হতে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ এবং স্কাউট হেলিকপ্টার হিসেবেও এই হেলিকপ্টারগুলো ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এই হেলিকপ্টারগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তা, মিশন পরিচালনা ও সীমিত আকারে জরুরী রশদ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।