চট্টগ্রামে অনুমতি পেল আরও ৩ হাসপাতাল

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের আরও তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল করোনা ভাইরাস শনাক্তের এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া এই তিন হাসপাতাল হলো-চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ রোডের পার্কভিউ হাসপাতাল এবং ডেল্টা হেলথ কেয়ার। এর আগে গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রামে আরও চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- হালিশহরের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, ওআর নিজাম রোডের সিএসসিআর ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং কাতালগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে মোট সাতটি হাসপাতাল এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২০ মার্চ প্রথম এন্টিজেন টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। সরকার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এন্টিজেন টেস্টের ফি সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এন্টিজেন টেস্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কিছু শর্তও আরোপ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ এর উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, নাকে ঘ্রান না পাওয়া, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়ারিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং বিগত ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট DHIS -২ এন্ট্রি দিতে হবে। অনুমোদিত কিটের নামসমূহ: Standard COVID-19 Ag Test kits- SD BIOSENSOR (South Korea), PANBIO (USA). পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা। বিশেষ ক্ষেত্রে বাসা হতে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকা রাখা যেতে পারে। একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার অধিক হবে না। রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা হতে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফোকাল পার্সন এর সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পার্সন থাকবে যিনি মেডিকেল অফিসার সমমর্যাদার হবেন। সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।