চট্টগ্রামের ১৫ হাসপাতাল পেল ১৪১ নতুন চিকিৎসক

11

চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় যোগদান করেছেন ১৪১ জন চিকিৎসক। ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন পদে এসব চিকিৎসক যোগদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে নব যোগদানকৃত চিকিৎসকদের অভ্যর্থনা জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। সভায় জনগণের কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ডাক্তারদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ১৪১ চিকিৎসকের মধ্যে ফটিকছড়িতে ১০ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন, বাঁশখালীতে ৭ জন, সাতকানিয়ায় ৭ জন, সন্দ্বীপে ১১ জন, লোহাগাড়ায় ৭ জন, রাঙ্গুনীয়ায় ৮ জন, চন্দনাইশে ১৬ জন, সীতাকুন্ড ১১ জন, বোয়ালখালীতে ১০ জন, কর্ণফুলীতে ৭ জন, আনোয়ারায় ১০ জন, রাউজানে ১১ জন, পটিয়ায় ৮ জন এবং হাটহাজারীতে ১১ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সদরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও সক্ষমতা বাড়াতে সরকার বিগত দুই বছরে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। জনগণের কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। তাহলে সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন হবে। যাদের যে উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে তাদেরকে সেখানেই অবস্থান করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। রোগীদের বেকায়দায় ফেলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কর্মস্থলে কাজে লাগাতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো রোগীর চিকিৎসা সম্ভব না হলে তাকে ভালো ব্যবহার দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ৮ মার্চ চট্টগ্রামে কোভিড সনাক্তের দুই বছর পূর্ণ হলো। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্তে¡ও করোনা-ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে রাজধানী ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রাম এখনো পর্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা যারা নতুন যোগদান করেছেন সর্বোচ্চ বিসিএস ক্যাডারে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এ জন্য আমরাও গর্বিত। নিজেকে ভালোবেসে এ দেশের মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিতে পারলে স্বাস্থ্যসেবায় ঈর্ষণীয় সাফল্য আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকের পাশাপাশি নবযোগদানকৃত ১৪১ জন চিকিৎসককে আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হবে। রোগীর প্রতি কোনো ধরণের অবহেলা না করে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। কাঙ্খিত চিকিসৎসাসেবা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি নবীন চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশা দেন।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চিকিৎসকদের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ, নবযোগদানকৃত মেডিকেল অফিসার ডা. সুদীপ কুমার চৌধুরী (বোয়ালখালী) ও ডা. জোয়াইরিয়া সুলতানা বন্যা (সীতাকুন্ড)।