চট্টগ্রামের পাহাড়ে পাহাড়ে সিআরবি’র প্রতিধ্বনি

30

 

চট্টগ্রামে সিআরবির জন্য চট্টগ্রামবাসী যে আবেগ-অনুভূতি, ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে তা এক অর্থে অসাধারণ। নানা আন্দোলনের মধ্যে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের আহŸান জানিয়ে নাগরিকদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সিআরবির প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্যই নয়, সেখানে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থানে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুর রবের কবর, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৩০ এর যুব বিদ্রোহের অন্যতম ‘ময়দান’ সিআরবি সহ পূর্বাঞ্চল রেল সদর দপ্তরের বিভিন্ন স্থান।
শুধু নাগরিক সমাজ নয়, সাধারণ তরুণরাও তাদের সঙ্গে সিআরবির সম্পর্ককে জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গান গেয়ে, কবিতা লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সিআরবিতে হাসপাতাল গড়ার বিরুদ্ধে এভাবে নানা মত ব্যক্ত করেছে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠন যেভাবে একাট্টা হয়েছে, তাতে সাধারণ জনগণের অনেকেই একাত্মতা প্রকাশ করছে। চট্টগ্রামের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে এ রকম প্রতিবাদ সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। এত সম্মিলিত অংশগ্রহণের যদি চর্চাটা আগে থেকে থাকত তাহলে সিআরবিতে হাসপাতাল গড়ার জন্য এভাবে কেউ এগিয়ে আসার সাহস করত না। এই চর্চা যেন টিকে থাকে। এভাবে যে প্রতিবাদ, এটা যেন সর্বত্র দেখা যায় চট্টগ্রামের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে। এই প্রতিবাদ যেন বেঁচে থাকে। চট্টগ্রামবাসীরা আশা করছে- এখানে হাসপাতাল গড়ার উদ্যোগ থেকে সরে আসবে যারা এমন নান্দনিক প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করে হাসপাতাল গড়ার অপচেষ্টা শুরু করেছিল।
ব্রিটিশিবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত এবং শহীদদের কবর ও শহীদ মিনার থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিআরবি। গত বছরের মার্চে চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর (সিআরবি) এলাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের (পিপিপি) আওতায় হাসপাতাল নির্মাণে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেডের সাথে চুক্তি করে রেলওয়ে।
হাসপাতাল হওয়াটা বেশ সুসংবাদ। কিন্তু জনগণের চিকিৎসাসেবার জন্য দরকার সরকারি হাসপাতাল কিংবা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মত প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে বহু বাণিজ্যিক চিকিৎসালয় আছে। বলতে গেলে অজস্র। জায়গা না পেলেও টাকা দিলে এরা অর্থাৎ চিকিৎসা ব্যবসায়ীরা তাদের বেডরুমেও রোগীর চিকিৎসা দিবে। তাদের টাকাই চাই। বাণিজ্যিক মনোবৃত্তির কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এতটা ছাড় দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। এর বাইরে সিআরবির মত জায়গা পেলে এদের তো খুশির সীমা থাকবে না। আর তাদের পক্ষে যারা কথা বলছে তাদের ব্যাপারে বুঝতে হবে টাকার কি মধু! এটা আন্দোলনকারীরাও বোঝাতে চাই-হাসপাতাল স্থাপনকারীদের প্রতিবাদের মাধ্যমে। একইসাথে চট্টগ্রামে তাদের যোগসাজশকারীদেরও বোঝা উচিত, জনগণ তো প্রকাশ্যে এসবই বলাবলি করছে।
ঢাকার সাথে তুলনা করলে চট্টগ্রামে কয়টা সরকারি হাসপাতাল আছে? সেরকম হাসপাতাল করার জন্য চট্টগ্রামে কোনো উদ্যোগ নেই। কিন্তু যে হাসপাতাল করার জন্য এত তৎপরতা এবং দখলের যে মানসিকতা তার কারণ কি? তাও সিআরবির মত একটা ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক পরিবেশে।
পরিবেশ আর জায়গা নির্ধারণের কথা যদি বলি তাহলে শুধু চোখের উপর সিআরবি নিয়ে বললেই হবে না-‘out of sight, out of mind’- চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল বলে- একটা কথা আছে।
সিআরবি ছাড়াও চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তা দেখতে হলে অক্সিজেন, বায়েজিদ বোস্তামি, ভাটিয়ারি, জালালাবাদ এলাকায় ঘুরে দেখতে হবে।
অক্সিজেন, জালালাবাদ আর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা সহ সমগ্র চট্টগ্রাম নগরীর চারপাশে কতগুলো পাহাড় আছে আমরা জানি না। মানুষের চোখের আড়ালে প্রতিদিন এই পাহাড়গুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর খালগুলো যখন সম্পূর্ণ দখল হয়ে গেছে তখন চট্টগ্রামে খালের একটা সংখ্যা দাঁড় করা হয় (এটা দখলদারদের পক্ষে কৌশলও হতে পারে)। সব পাহাড় ধ্বংসের পর একদিন কোনো গোষ্ঠি বলবে- চট্টগ্রামের ‘এতগুলো’ পাহাড় ছিল। যখন পাহাড়গুলো ফিরে পাবার কোনো উপায় থাকবে না। বায়েজিদ, জালালাবাদ, অক্সিজেন এলাকায় দিনের পর দিন যে পরিমাণ পাহাড় ধ্বংস করা হচ্ছে, মানে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে এটা সিআরবি এলাকার চেয়ে শত শত গুণ বেশি। সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়ে এসব কোন অংশে কম নয়। এতে চট্টগ্রামের চিরাচরিত প্রাকৃতিক ভূমিরূপকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
অতি সম্প্রতি দুটি পত্রিকার রিপোর্ট চোখে পড়েছে। একটি হচ্ছে পুলিশ লাইন্সের ভেতর পাহাড় কেটে মাঠ বানানোর কথা। আর একটি চট্টগ্রামে রাস্তা বানানোর খবর-যে সড়কটি ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম নগরীতে ৬ কিমি. বায়েজিদ-ফৌজদার হাট লিঙ্ক রোডের জন্য ১৮ টি পাহাড় কাটা হয়েছে। অথচ একটি পাহাড় কোনো রাষ্ট্র বা প্রশাসন, সরকার সৃষ্টি করতে পারবে না। সেখানে প্রশাসন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ১৮ টি পাহাড় কেটেছে। পাহাড় না কেটে সড়ক তৈরির পরিকল্পনা যদি তারা করতে না পারে, তাদের এই যোগ্যতা দিয়ে তারা কি এদেশের পরিবেশ রক্ষা করতে পারবে? এই ছোট একটি দেশের পরিবেশ যদি এভাবে ধ্বংস করা হয় তাহলে এই প্রশাসনের উদ্ভাবনটা কি। উদ্ভাবন যদি না থাকে তাদের শিক্ষা আর প্রশাসনিক সক্ষমতা সবটাই ব্যর্থ।
আর যারা ১৮টি পাহাড় কেটে সড়ক বানাতে পারে তারা কি সত্যি ব্যর্থ হতে পারে? তারাই তো দেশ চালায়। দেশের উন্নয়নের কথা বলে -কিন্তু উন্নয়নটা কোন পর্যায়ের। সুতরাং এসবের মধ্যে মানুষ কি বিশ্বাস করবে বা করবে না-সেটাই ধাঁধাঁ।
যদি একটি ৬ কিমি. রাস্তা বানানোর জন্য ১৮ টি পাহাড় কাটে তাহলে সেখানে জনগণ(যারা পাহাড় কাটে) কী বসে আছে? প্রশাসনের দেখাদেখি যারা এভাবে পাহাড় কাটে যাদের এদেশে ‘সমীহ’ করে ভ‚মিদস্যু বলা হয় তারা রাতদিন কেটেই যাচ্ছে। একই সঙ্গে আছে বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। নানা ব্যবসার নামে যাদের কাজ শুধু নদী-খাল-পুকুর সবই ভরাট করা। দখল করা। পাহাড় কাটা। বালু উত্তোলন- ইত্যাদি। এদের জবর দখল আর ভরাট করা আর কেটে সাবাড় করার জন্য পথ সৃষ্টি করে কারা?
সেটা জানতে আগ্রহীদের অবশ্যই বায়েজিদ বোস্তামি, অক্সিজেন, জালালাবাদ সহ চট্টগ্রাম নগরী ঘুরে দেখতে হবে। সিআরবি ঘুরে দেখতে হবে। চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোর একটা হিসাব থাকতে হবে। অন্তত প্রাচীন চট্টগ্রামের ভূমিরূপের একটা মানচিত্র থাকা চাই। চট্টগ্রামের বাইরের হওয়ায় স্থানীয় পরিবেশ নিয়ে যাদের কোনো দরদ থাকে না, কোনো রকমে সময় পার করে চলে যায়-তাদের কাছে জবাবদিহির উপায় কি? সবশেষে স্থানীয় লোকজনের জন্য থাকে ‘কাঁচকলা’।
শত শত বছর ধরে কোনো অঞ্চলের উৎপাদন ও অর্থনীতি যদি অন্যের হাতে সোপর্দ করা হয়, তাহলে খুব ভয়ঙ্কর ব্যাপার। মানে ভয়ঙ্কর ফলাফল আসবে। সেটা কেমন?
কারো আয়-রোজগার যদি বেহাত হয়ে যায়, তাহলে তিনি তখন খরচ সামলানোর জন্য জায়গা বেচবেন, বাড়ি-ভিটে বিক্রি করবেন। আপনাকে যদি সেখান থেকে উচ্ছেদ করা যায় কৌশলে, যদি টাকা দিয়েও উচ্ছেদ করা যায়, ধীরে ধীরে স্থানীয় অন্য প্রতিবেশীও উচ্ছেদ হবে। এতে উচ্ছেদকারী ক্রেতা হোক, দখলদার হোক তার শক্তি বাড়াবে। সাথে অর্থনৈতিক শক্তি বাড়াবে। দখলদার আরেক দখলদার নিয়ে আসবে। তার সহায়ক হিসাবে। সহায়ক শক্তি বাড়ানোর জন্য দখলের সক্ষমতা-সীমাও বাড়াবে। আশেপাশে যা আছে তা দখল করবে। অজগরের মত গিলবে। পাহাড় হোক, নদী হোক। নালা-নর্দমা কিছুই বাদ যাবে না। দখল হচ্ছে দুর্বৃত্তের ক্ষমতা ও সামর্থ্যরে বাহ্যিক প্রকাশ। এভাবেই এখানে পাহাড়, খাল, নদী দখলের চক্রগুলো গড়ে উঠেছে। বাইরের এবং ভেতরের মানুষের সমন্বয়ে। যেখানে স্থানীয়রা এখন অনেকটাই নির্বল-নিবীর্য হয়ে পড়েছে।
সিআরবির বাইরে বায়েজিদ, জালালাবাদের অক্সিজেনের পাহাড় দখলকারী কারা। দখলদার- জোর জবরদস্তিকারীরা। এরা নানা নামে দখলদার। নানা কথায়। নানা বুলিতে। নানা কৌশলে। নানা সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধায়। মুক্তিযোদ্ধার নামে। ছিন্নমূলের নামে। অসংখ্য ‘নামধারী’ পাহাড় কেটে দখলকারী এরা। পাহাড় কেটে সাবাড় করার ‘মুক্তিযোদ্ধা’ এরা। ছিন্নমূল যার খাবার জোটানোর উপায় থাকে না, সে পাহাড় কাটতে পারে? এটা ভয়ঙ্কর একটা কৌশল। মূলত নেপথ্যে কারা থাকে? তারা চট্টগ্রামের হোক কিংবা বাইরের।
এসব চোখে আগে দেখতে হবে। দূরের চোখ দিয়ে। নিসর্গ আর প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালোবাসার চোখ দিয়ে। প্রকৃতি-পরিবেশের সাথে মানুষের সম্পর্কের চোখ দিয়ে।
আৎকে উঠার মত একটি হিসাব পেতে হলে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোর একটি হিসাব থাকা লাগবে। সংখ্যাটা জানতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে সিআরবি নয় সিআরবির মত শত শত নান্দনিক ভূবৈচিত্র্য ও পাহাড় উজাড় হয়ে গেছে। চোখের উপর হচ্ছে না বলে বুকে ব্যথা লাগে না, বুকে কম্পন উঠে না।
শুধু বর্ষা আসলে পাহাড় ধসের বিরুদ্ধে কত রকমের ছলছাতুরি। বর্ষা শেষ হলে উধাও সব। এসব কৌশল হচ্ছে সহায়তার মত।
তারা কোথাকার কে বা কারা? পাহাড়-প্রকৃতিময় চট্টগ্রামের দায়দায়িত্ব চট্টগ্রামবাসীকে নিতে হবে। অন্যকোনো ভাবে বর্তমান রাজনৈতিক নির্ভরতায় এখানকার পাহাড় ও প্রকৃতিকে বাঁচানো যাবে না। সিআরবির জন্য যেমন নাগরিক স¤প্রদায় ঐক্যের ডাক দিয়েছে তেমনি চট্টগ্রামের সমগ্র পাহাড় ও প্রকৃতি রক্ষায় লড়াই করতে হবে- আর একটা পাহাড়ের গায়ে যেন আঁচড় না লাগে। আর যারা পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে, স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর দায়িত্বশীল যারা এসব রক্ষা করতে পারেনি, সেজন্য জবাবদিহিতা চাইতে হবে। প্রয়োজন হলে আইনের রক্ষকদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়গুলোর যে বৈশিষ্ট্য তা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমপর্যায়ের। পার্বত্য চট্টগ্রাম মানে শুধু রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান নয়। চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল বলতে ব্যাপক বিস্তৃত। শুধু রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বলা মানে চট্টগ্রামের পার্বত্য ভূমিরূপকে অস্বীকার করা। এটা ব্রিটিশদের চাল। কারণ ব্রিটিশরাই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানকে পার্বত্য চট্টগ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করে। তাও হয়েছিল প্রশাসনিক কারণে। ভূ-প্রকৃতির হিসাবে নয়। ভূ-প্রকৃতি হিসাবে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলের শ্রেণীভুক্ত। ভূগোল সেই কথাই বলে। ভূগোল সেই কথা বললে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানের পার্বত্যবৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকলে চট্টগ্রামের থাকছে না কেন। সেই অর্থে সেখানকার পাহাড়িরা শক্তিশালী। আর চট্টগ্রামবাসী কেন হীনবল হয়ে পড়েছে-যারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে জানে না। পাহাড়গুলো শুধু এখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতির অংশ নয়, স্থানীয় মানুষের অস্তিত্বও। সেই পরিবেশের অংশীদার স্থানীয়রা যদি তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের অস্তিত্বও বিলোপ হবে।
এই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই যেন সিআরবি রক্ষার যে স্লোগান, আওয়াজ, বক্তৃতা, কথামালা, কবিতা, গান সহ নানা দাবি-তা যেন চট্টগ্রামের পাহাড়ে-পাহাড়ে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়। পাহাড়গুলো রক্ষায় চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ যেন নাগরিক দায়িত্ব পালনে ভুলে না যায়। সিআরবি’র আন্দোলন যেন চট্টগ্রামে পাহাড়, নদী, সাগর, খাল, জলাভ‚মি ও পরিবেশ রক্ষায় নতুন দিনের সূচনা করে।

লেখক : সাংবাদিক