চট্টগ্রামের জন্য প্রাণ উজাড় করে কাজ করেছেন ডিসি মমিন

44

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, পতেঙ্গা এলাকায় বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে রেল সংযোগে আনার জন্য কাজ করছে সরকার। এছাড়া এ এলাকায় রেলের ২০৫ একর জায়গায় কন্টেইনার ইয়ার্ড করা হবে। রাউজানে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শিল্প নগর। এ শিল্প নগরে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভালো মানুষের মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দেয়া হয় যাতে অন্যরা উৎসাহিত হন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেয়ায় তিনি চিটাগাং চেম্বারের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি বলেন,বাজার মনিটরিংয়ে অনেক ছোট ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়। যদি উপযুক্ত ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের হিসাব রাখা যেত তাহলে এ হয়রানি রোধ করা যেত। এজন্য চেম্বার নেতৃবৃন্দকেও সরকারের সাথে কাজ করার আহŸান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অবক্ষয়ের এই সময়ে ভালো মানুষকে মূল্যায়ন না করলে ভালো মানুষ পাওয়া যাবে না। ক্ষমতাবান শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই, কিন্তু ভালো মানুষের অভাব রয়েছে। একজন দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও সৎ মানুষকে মূল্যায়নের মাধ্যমে তার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য চিটাগাং চেম্বারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. দিদারুল আলম এমপি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে কাজ করে জেলা প্রশাসন। বর্তমান জেলা প্রশাসক তার সততা ও দক্ষতা দিয়ে সরকারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। ভবিষ্যতেও তিনি এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন চৌকশ কর্মকর্তা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। যিনি চট্টগ্রামকে আপন করে নিয়েছেন। এ অঞ্চলের উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রাণ উজাড় করে। তার নিষ্ঠা ও সততায় আদায় করে নিয়েছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আইন-শৃংখলা থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে তার দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ভবিষ্যতেও মমিনুর রহমানের সফলতা কামনা করেন চেম্বার সভাপতি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবর্তন হওয়ার সময় এসেছে। আমরা আগে কোথায় ছিলাম এখন কোথায় আছি তার সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারণে। আমি সব সময় সরকারের কাজকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে করতে চেষ্টা করেছি। দুর্নীতি করিনি, সবার সাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে যে উন্নয়ন প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে চট্টগ্রাম।
চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, জেলা প্রশাসন স্বতঃস্ফূর্তভাবে চট্টগ্রাম জেলায় সরকারি সেবা গণমুখীকরণ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ নিয়েছে যা আমাদের সরকারের গণবান্ধব নীতির প্রতিফলন। চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের এ মহাযজ্ঞে সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তাকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী’র সম্পাদক এম এ মালেক ও দৈনিক পূর্বকোণের প্রকাশক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, মো. ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), বিজিএমইএ’র পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনসাল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, এইচআরসি’র সিনিয়র পরিচালক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, দৈনিক আজাদী’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, প্রাক্তন পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), মাহফুজুল হক শাহ, আলমগীর পারভেজ ও মো. আবদুল মান্নান সোহেল, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, মিয়া গ্রæপের চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান প্রমুখ।