চট্টগ্রামের কারও স্থান হয়নি

31

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিএনপি। গতকাল রবিবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
গত ১৭ এপ্রিল কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল বিএনপি।
নতুন কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
তবে ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান হয়নি চট্টগ্রামের কোনো নেতার। যদিও ছাত্রদল নেতাদের দাবি, শুধু ঢাকা জেলার নেতাদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য কোনো জেলার নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়নি।
ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি ২১, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮২ জন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক ৬২ জন থাকার নিয়ম রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইজাজুল কবির রুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানসহ ৩৩ সদস্যের কমিটিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে অছাত্র ও বিবাহিতদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া নির্ধারিত শিক্ষাবর্ষও মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন পদবঞ্চিতরা।
গতকাল রাতেই অছাত্র ও বিবাহিতদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি দেয়ার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
এসময় পদবঞ্চিতরা জানান, কমিটির পদ ঘোষণায় নিয়ম ছিল শিক্ষাবর্ষ ২০০৩ থেকে যারা আছেন তাদের কমিটিতে রাখা হবে। কিন্তু নতুন কমিটিতে অছাত্র এবং ২০০১/২০০২ সেশনের পাস করাদেরও কমিটিতে রেখেছে। এমনকি সংগঠনটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিও শিক্ষাবর্ষ এবং নির্ধারিত মানদন্ডের বাইরে।