চট্টগ্রামেই হবে সর্ববৃহৎ বিজয় র‌্যালি : নওফেল

128

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় প্রতিবছর এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হয়। ডিসেম্বরে মাসব্যাপী চলা এ মেলায় শুধু চট্টগ্রামের নয়, বাংলাদেশে যে কোন মুক্তিযোদ্ধা তার যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করতে পারেন। এ ধরনের মেলা একমাত্র চট্টগ্রামেই হয়। এজন্য বিজয় মেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। বিজয় দিবসে এবার চট্টগ্রামেই করতে চাই বৃহত্তর বিজয় র‌্যালি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত সমন্বিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, আগামী বছর আমরা জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী পালন করবো। এ বিজয় র‌্যালির মাধ্যমেই তার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তিকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ, আনসারসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এ র‌্যালিতে অংশ নিবেন। এ র‌্যালি প্রমাণ করবে জাতির জনকের প্রতি আমাদের ঐক্য রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধারণ ও লালন করার জন্য এমন বিজয় মেলা ও বিজয় র‌্যালি করা প্রয়োজন।
চট্টগ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, মহানগরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে। সেবা সংস্থার প্রতি অনুরোধ থাকবে জনদুর্ভোগ যাতে কমানো যায়। ১৬ ডিসেম্বর নগরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাÐ, রাস্তা কাটাকাটি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বিত মতবিনিময় সভায় শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর আনসার কমান্ডার মো. আজিমুদ্দিন, বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্টু লাল সাহা, বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ ডিসেম্বর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বিজয় শিখা প্রজ্জলন এর মাধ্যমে বিজয় র‌্যালির উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিজয় র‌্যালি নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে শুরু হয়ে জেএম সেন হল-কোতায়ালী মোড়-এনায়েত বাজার মোড় হয়ে বিজয় মঞ্চে এসে শেষ হবে।