চট্টগ্রামবাসী পাচ্ছে সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট

36

পূর্বদেশ অনলাইন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যুক্ত হন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরসহ প্রশাসন, পুলিশ, গণপূর্ত ও স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নতুন ১৫ তলা ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বর্তমান ক্যান্সার ওয়ার্ডের পাশে ক্যান্টিন সংলগ্ন খালি জায়গায়।
চমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, নতুন এ ভবনে ক্যান্সার ইউনিটের পাশাপাশি কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগ হচ্ছে।

ভিন্ন একটি প্রকল্পের অধীনে ৫০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনও করা হবে। নতুন ভবনের দুটি ফ্লোর কিডনি বিভাগ ও ডায়ালাইসিস সেন্টারের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

এছাড়া সিসিইউসহ হৃদরোগ বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকবে আরও দুটি ফ্লোর। সব মিলিয়ে ৮টি ফ্লোর বরাদ্দ পাচ্ছে ক্যান্সার ইউনিট।
১৫ তলা এ ভবনে মোট ৪৬০ শয্যা সংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান ডা. সাজ্জাদ মো. ইউসুফ। এর মধ্যে ক্যান্সার ইউনিটের পাশাপাশি কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগকে নির্ধারিত সংখ্যায় শয্যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কিডনি ডায়ালাইসিসে সরকারি পর্যায়ে নতুন করে ৫০ শয্যার যে ডায়ালাইসিস সেন্টার হওয়ার কথা, সেটি নতুন ক্যান্সার ভবনেই স্থাপন হবে বলে জানান চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের (ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যার একটি করে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে এ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে। ডিপিপি অনুযায়ী একশ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনের জন্য ২টি বেইজমেন্টসহ (বাংকার) ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি করে ভবন নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে গণপূর্ত বিভাগ।